ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নারীসহ দুই আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নারীসহ দুই আসামির যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ৭ সেপ্টেম্বর ॥ পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে রনি ইসলাম নামের এক যুবককে খুন করার দায়ে নারীসহ দুই আসামিকে যাবজ্জীবন করাদ- ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে কুষ্টিয়া দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডিত আসামিরা হলো- দৌলতপুর উপজেলার তাজপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুন ও একই থানার হায়দারের চর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে সজীব হোসেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডৈ অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আদালত সূত্র জানায়, রনি ইসলাম ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি বাজারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজখুঁজির পরও তার কোন সন্ধ্যান না পেয়ে রনির পিতা নাহারুল ইসলাম এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এদিকে একই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর গ্রামের পদ্মার চরে বালির নিচে পুঁতে রাখা একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ লাশটি নিখোঁজ রনি ইসলামের বলে শনাক্ত করে তার পিতা। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ শাহদারা খান দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সজীব হোসেন ও সীমা খাতুনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়, আসামি সীমা খাতুনের স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে রনি ইসলামের সঙ্গে সীমা খাতুনের প্রথমে সম্পর্ক এবং পরে তা শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। একপর্যায়ে রনি এসব বিষয় ফোনে ধারণ করে সীমা খাতুনকে ব্লাকমেল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনসহ টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে। সীমা খাতুন রনির ওপর এর প্রতিশোধ নিতেই সজীবকে দিয়ে রনিকে পদ্মা নদীর চরে নিয়ে গিয়ে আসামি সজীব হোসেন ও সীমা খাতুন তার গলা টিপে ধরে এবং পরবর্তীতে গলায় চাদর পেঁচিয়ে রনি ইসলামকে হত্যা করে লাশ পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখে।
×