ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৪ আগস্ট ২০২০

শেয়ারবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের মতো সূচকের তেজিভাব সপ্তাহের শুরুর কার্যদিবসে ছিল না। কিন্তু সকালে বড় উত্থানের আভাস দিচ্ছিল প্রধান শেয়ারবাজার। কিন্তু ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর দর বেশি কমার কারণে বড় উত্থান আর ঘটেনি। নামমাত্র উত্থানেই প্রধান বাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবারে লেনদেনের প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সূচকের উর্ধমুখী ধারা অব্যাহত থাকায় এক পর্যায়ে সূচকটি ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু শেষ ঘণ্টায় এসে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। এতে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৭৯৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, গত কয়েকদিনে বেশকিছু শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। একইসঙ্গে সূচকও বেড়েছে সমানতালে। তাই এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে ফের নতুন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন। ফলে সূচকের ব্যাপক ওঠানামা দেখা গেছে। সবমিলে শেয়ার ইতিবাচক থাকাতেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। তাদের মতে, তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই বাাজারে শেষদিকে এসে বিক্রির চাপ বেড়ে গেছে। সূচকের এমন নামমাত্র উত্থানের দিন ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে কম। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৪২টির এবং ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে মূল্য সূচকের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৯৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয় ৯৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে এক কোটি ৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। কোম্পানিটির ৬১ কোটি ৪৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, গ্রামীণফোন এবং সামিট পাওয়ার। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩১ পয়েন্ট। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২২টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১১৯টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×