ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

হাছন রাজা স্মরণে অনুষ্ঠান ‘মাটির পিঞ্জিরার মাঝে’

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৪ আগস্ট ২০২০

হাছন রাজা স্মরণে অনুষ্ঠান ‘মাটির পিঞ্জিরার মাঝে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেকড়ের সুরে সাজানো এক সঙ্গীতসন্ধ্যা। লোকজ বাংলার গানে গানে এগিয়ে যায় সঙ্গীতাসর। আর পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে পরিবেশিত হয় মরমী সাধক হাছন রাজার গান। তবে মিলনায়তন বা উন্মুক্ত আঙিনায় হয়নি সে আয়োজন। করোনাকালে শিল্পীদের বিকল্প প্ল্যাটফর্ম ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানটির শিরোনাম ছিল ‘মাটির পিঞ্জিরার মাঝে’। রবিবার সন্ধ্যায় হাছন রাজার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের এ সঙ্গীতাসরটি সম্প্রচারিত হয় ফেসবুকে। মহামারীর দুঃসময়ে আতঙ্কিত মানুষের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ছড়িয়ে এই সঙ্গীতাসর। আর এতে গান শুনিয়েছেন প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী আকরামুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবীর। প্রেমানুভব, আধ্যাত্মবাদসহ নানা বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে তাদের গানের বাণীতে। আকরামুল ইসলামের পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রিয়তমার প্রতি মুগ্ধতার প্রকাশে দরদী কণ্ঠের আশ্রয়ে শিল্পী গেয়ে শোনান- সোনা বন্ধে আমারে দেওয়ানা বানাইলো/সোনা বন্ধে আমারে পাগল করিল/আরে না জানে কি মন্ত্র করি জাদু করিল ...। শিল্পীর দ্বিতীয় পরিবেশনায় গীত- মাটির পিঞ্জিরার মাঝে/কান্দে হাছন রাজার মন মনিয়া রে...। এরপর একে গীত হয় ‘আমি ধরতে না পারি’ ও ‘আগুন জ্বালাইয়া দিল কনে হাছন রাজার মনে’ শীর্ষক সঙ্গীত। স্রষ্টার প্রতি সমর্পণের বারতায় পরিবেশনা শুরু করেন জাহিদুল কবীর। গেয়ে শোনান- ওগো মাওলা তোমার লাগিয়া হাছন রাজা হইলো বাউলা/ভাবতে ভাবতে হাছন রাজা হইলো এমন আউলা ...। এরপর শিল্পী একে একে গেয়ে শোনান ‘পুতের দাড়ি পাকিয়া গেল’, ‘তোর সনে মোর কিসের দয়া’, ‘রূপ দেখিলামরে নয়নে’ ও ‘আহারে সোনালী বন্ধু’ শীর্ষক সঙ্গীত। নয়টি গানে সজ্জিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায়। জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠের কার্যক্রম শুরু ॥ মাঝে দীর্ঘ বিরতির পর আবার চালু হলো জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠের কার্যক্রম। সাহিত্যচর্চায় নিবেদিত গ্রন্থাগারটি পুরনো ঠিকানা বদলে নতুন ঠিকানায় শুরু করেছে এই কার্যক্রম। আবাহনী মাঠের পেছনে নতুন ঠিকানাটি হচ্ছে- বাড়ি-৭৫/এ, সড়ক-১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯। রবিবার প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. আহরার আহমদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাঠকের জন্য বিদ্যাপীঠ উন্মুক্ত থাকবে। তবে একসঙ্গে কেবলমাত্র ৮ জন পাঠক ভেতরে অবস্থান করতে পারবেন। সব পাঠককে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং মাস্ক পরে আসতে হবে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত কার্যক্রম বক্তৃতা, সেমিনার, বৈঠকী, কোর্স ইত্যাদি আয়োজন সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবারও এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
×