ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

লালমনিরহাটের মাইক্রো চালক বেলাল হত্যার মূল আসামী আটক

প্রকাশিত: ২০:৫১, ৪ আগস্ট ২০২০

লালমনিরহাটের মাইক্রো চালক বেলাল হত্যার মূল আসামী আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলা সদরের বড়বাড়ি হতে মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেন(২৯) হত্যা মামলার মূল আসামী সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর দুলাভাই আলমগীর হোসেন(৩০) কে পুলিশ সোমবার রাতে আটক করেছে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা শহরের হাড়িভাঙ্গা গ্রামের মোঃ আবুল কালাম আজাদের পুত্র বেলাল হোসেন কে তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী লাবনী বেগম(২১)’র পরকীয়ার কারণে খুন হতে হয়। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী লাবনী বেগম (২১) ও তার প্রেমিক দুলাভাই আলমগীর হোসেন (৩০) কে গ্রেফতার করেছে। সদর থানার হাড়িভাঙ্গা গ্রামের মাইক্রোবাস ড্রাইভার বেলাল হোসেনের (২৯) সাথে বড়বাড়ী ইউনিয়নের বৈরাগিকামার গ্রামের লাবনী বেগম (২১) এর সাথে গত ২৪ জুন দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা করে বিয়ে হয়। কিন্তু লাবনী তার এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। ফলে প্রেমিক দুলাভাই আলমগীর হোসেনের সাথে পরিকল্পনা করে স্বামী বেলাল হোসেনকে বিয়ের ৭দিন পরেই হত্যা করে। খুনি আলমগীর হোসেন(৩০) গত ২৫ জুলাই মোটর সাইকেল যোগে শ্যালিকার স্বামী বেলাল হোসেনকে লালমনিরহাটে নিয়ে আসে। তাকে সেভেন আপের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে আদিতমারীর সরপুকুর গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ছুরি দিয়ে হত্যা করে সারপুকুর ইউনিয়নের পাঠানটারী গ্রামস্থ্য লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহা সড়কের পাকা রাস্তার পাশে একটি পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঘটনার দুই দিন পর থানা পুলিশ গত ২৭ জুলাই ৩.১৫ ঘটিকার সময় তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন লাশটির পরিচয় শনাক্ত করে। এব্যাপারে নিহত বেলাল হোসেনের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে মৃত বেলাল হোসেনের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী লাবনী বেগম (২১) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত লাবনী পুলিশের কাছে গুরুতপুর্ন তথ্য প্রদান করে। এই তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশ গত ৩ আগষ্ট বড়বাড়ী এলাকা হতে খুনি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে। মৃতের স্ত্রী লাবনী বেগমের সাথে দুলাভাই আলমগীর হোসেনের দীর্ঘদিন থেকে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘদিন যাবত তার শ্যালিকা লাবনী যাতে অন্যত্র বিবাহ করতে না পারে তার জন্য সকল প্রকার ষড়যন্ত্রমুলক চেষ্টা অব্যাহত রাখে দুলাভাই আলমগীর হোসেন। অবশেষে গত ২৪ জুন বেলাল হোসেনের সাথে সুন্দরী লাবনী বেগমের বিয়ে হয়। শ্যালিকার বিয়েতে ক্ষীপ্ত হয়ে দুলাভাই আলমগীর হোসেন বেলাল হোসেনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ও সফল হয়। এই ক্লুলেস মামলাটি দ্রুত উৎঘাটনের জন্য পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ( বিপিএম পিপিএম) আদিতমারী থানার অফিসার ইনচারর্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রথম দিকে মনে করা হচ্ছিল শ্রমিক সংগঠনের দ্বন্দের জের ধরে হত্যা কান্ড ঘটতে পারে।
×