ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে ভিজিএফ চাল বঞ্চিতদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ৩০ জুলাই ২০২০

সৈয়দপুরে ভিজিএফ চাল বঞ্চিতদের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে কার্ডধারী স্লিপের মাধ্যমে ৯ হাজার ৯৯৮ জনকে হিসাব অনুযায়ী ১০ কেজি করে চাল বিতরন দেখানো হলেও চারশ’ কার্ডধারী স্লিপ হাতে ঘুরছে। তারা কেউ চাল পায়নি। বুধবার এমন ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় ওই ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। এতে ভিজিএফের চাল বঞ্চিতরা বিক্ষোভ শুরু করলে ইউপি চেয়ারম্যান বাজার থেকে চাল কিনে আগামী দুদিন কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করবেন বলে ঘোষণা দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ আবু হাসনাত সরকার ও চাল বিতরণের ওই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মশিউর রহমান। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌর এলাকায় অসহায় পরিবারগুলোর জন্য সরকারীভাবে পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে কার্ডধারী স্লিপের সংখ্যা ৯ হাজার ৯৯৮। ফলে ওই সংখ্যক পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে। ২৭ জুলাই বরাদ্দের চাল সরকারী খাদ্যগুদাম হতে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তোলন করে ইউপি ভবনের গুদামে মজুদ রেখে মঙ্গলবার থেকে চাল বিতরণ শুরু করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এনামুুল হক চৌধুরী বলেন মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনে ৯ হাজার ৯৯৮ জনকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু চারশ’ পরিবার চাল পায়নি বলে স্লিপ হাতে দাবি করছে এটি আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, হয়তো দেড়শ’ পরিবার চাল পায়নি। এটি চারশ’ হবার কথা না। ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান জানান, ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। বিতরণকৃত চালের স্লিপগুলো সংরক্ষিত রয়েছে। আমরা তা জব্দ করে গণনা করব। সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ আবু হাসনাত সরকার বলেন ৪০০ পরিবার কেন চাল পেল না তার জবাব ইউপি চেয়ারম্যান জানাতে পারেনি। তিনি যদি আগামী একদিনের মধ্যে ওই কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ না করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুুল মোমিন বলেন, এবার উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ভিজিএফের চাল এলএসডি গোডাউন থেকে একযোগে উত্তোলন করতে হবে এবং তা ২/৩ দিনে বিতরণ করবে ইউপি চেয়ারম্যানরা। সে অনুযায়ী ২৭ জুলাইয়েই চাল ইউপি ভবনে চলে গেছে। কিন্তু তারপরও ২৯ জুলাই এসেও মানুষ চাল পাচ্ছে না। এটাই প্রমাণ করে যে অসৎ উদ্দেশ্যে চাল পাচার করা হয়ে থাকতে পারে। অবশ্যই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসিম আহমেদ জানান ঘটনাটি জানার পর এ বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে ওই ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকে। প্রতিবেদনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×