ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুরু হলো হজের কার্যক্রম ॥ হাজিরা যাচ্ছেন মিনায়

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২৯ জুলাই ২০২০

শুরু হলো হজের কার্যক্রম ॥ হাজিরা যাচ্ছেন মিনায়

অনলাইন ডেস্ক ॥ শুরু হলো হজের মূল কার্যক্রম। ২৯ জুলাই (বুধবার) হজের প্রথম দিন মক্কা থেকে ইহরাম বেধে ১০০০ হাজি ইতিমধ্যে মিনায় পৌঁছেছেন। খবর আরব নিউজ। নিয়ম অনুযায়ী পবিত্র নগরী মক্কা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে মিনায় এ দিন জোহরের আগেই হজে অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে মিনায় পৌছানোর কথা। সেখানে তারা ৫ ওয়াক্ত (জোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও হজের দিন ফজর) নামাজ আদায় করবেন। মহামারি করোনার মধ্য দিয়ে ব্যাপক স্বাস্থ্য সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১৪৪১ হিজরির পবিত্র হজ শুরু হলো। ইতিমধ্যে ১০০০ হজযাত্রী মিনায় পৌছেছেন। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে হজে অংশগ্রহণকারীদের পবিত্র নগরী মক্কা থেকে মিনায় নেয়া হচ্ছে। মিনায় গিয়ে অবস্থানকারী হজ পালনকারীরা বৃহস্পতিবার সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানে গিয়ে অবস্থান নেবে। সেখানে তারা সকাল থেকে দিনভর ইবাদত-বন্দেগি ও রোনাজারিতে সময় অতিবাহিত করবে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন তারা। মক্কা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে প্রায় ২৫ লাখ লোকের জন্য তাবু স্থাপিত শহর মিনায় এবার স্বল্প সংখ্যক হজপালনকারীরা অবস্থান নেবে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার সীমিত পরিসরে অল্প সংখ্যক লোক হজে অংশগ্রহণ করেছে। এ বছর হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসা নির্বাচিত হজপালনকারীদের আগে থেকেই তাপ পরীক্ষা করে আলাদা আলাদা স্থানে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের ব্যাগপত্র জীবানুমুক্ত করার কাজ সম্পন্ন করেছে। স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কর্মীরা পবিত্র নগরী কাবা শরিফের চারদিকে জীবানুমুক্তকরণ করতে বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছে। এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তায় এবং কাবা শরিফের পরিচ্ছন্নতায় কাবা শরিফের চারদিক ঘেরাও করে দেয়া হয়েছে। কোনো হজপালনকারীকেই কাবা শরিফ স্পর্শ করতে দেয়া হবে না। যথাযথ দূরত্ব বজায় (১.৫ মিটার তথা ৫ ফিট) রেখে তাওয়াফ, নামাজে অংশগ্রহণ ও সাঈসহ হজের সব কার্যক্রম পালন করতে হবে। মিনায় পাথর নিক্ষেপসহ সব কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। মিনায় পাথর নিক্ষেপের নুড়ি হজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যাগের মাধ্যমে সরবার করবে। ৩০ জুলাই মোতাবেক ৯ জিলহজ (বৃহস্পতিবার সকাল সকাল সব হজ পালনকারী আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হবেন। সৌদি সরকারে এমন কঠোর স্বাস্থবিধি ও নিরাপত্তা মেনে হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজে অংশগ্রহণকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এবার অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে হজে অংশগ্রহণের বিষয়টি বাছাই করা হয়। এ প্রক্রিয়া সৌদিতে বসবাসকারী ১৬০ দেশের লোকজন হজ পালনের সুযোগ পেলেন। তাদের মধ্যে দুই ইরানি বন্ধু জাকের কারিম ও সাইফুল্লাহ মোহাম্মাদানি যারা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তারা হজের নিবন্ধন করেছেন। সাইফুল্লাহ মোহাম্মাদানি বলেন, আবেদনের পর থেকে আমি নিয়মিত চোখ রাখছিলাম যে, আমার আবেদন গৃহিত হয়েছে কিনা। হজের অনুমোদন পেয়ে আমি খুশি হলাম। জাকের করিমকে ফোন করলে সেও অনুমোদন পেয়েছে বলে জানায়। এতে জাকের করিমও খুব খুশি হয়েছেন। আজারবাজাইনের জেলকিন, তিনি জুবাইলে কাজ করেন। তিনি বলেন, এ কঠিন সময়ে হজের অনুমোদন পাওয়ায় তিনি সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্বল্প সময়ে এ ব্যবস্থাপনা অনেক কষ্টকর কাজ। সর্বোপরি এবারের হজ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও হজ ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট।
×