ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশীরা নানা অপরাধে জড়িত

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২৬ জুলাই ২০২০

অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশীরা নানা অপরাধে জড়িত

শংকর কুমার দে ॥ বাংলাদেশে বৈধ-অবৈধভাবে বসবাস করছেন এমন বিদেশীর সংখ্যা দুই লাখের বেশি। করোনার মধ্যে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশী অপরাধী চক্র। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অপরাধের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা। করোনার মধ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশী অপরাধী চক্র দেশীয় লোকজনের সহায়তায় হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গত দুই মাসে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক বিদেশী প্রতারক চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানী ঢাকাসহ দেশে অবস্থানরত ১০ দেশের প্রায় ১ হাজার অবৈধ বিদেশী নাগরিকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ও অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে র‌্যাব, পুলিশ, সিআইডি ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতেই সহ¯্রাধিক অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশী নাগরিক প্রতারণা, ক্রেডিটকার্ড জালিয়াতি, জঙ্গী তৎপরতা, আদম পাচার, জাল ডলার ব্যবসা, মাদক পাচারের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ার তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রয়েছে। বিদেশী ওসব অপরাধী ইন্টারনেটে, ফেসবুক, ই-মেইল, হোয়াটএ্যাপ, মেসেঞ্জারসহ নানা ধরনের পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতে থাকে। ওসব বিদেশী নাগরিককে সহায়তা করছে অপরাধের সঙ্গে জড়িত কিছু এদেশের নাগরিক। গত ২২ জুলাই রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে এক বাংলাদেশী নারীসহ ১২ নাইজিরিয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ বিভাগ-সিআইডি। তাদের গ্রেফতারের পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডি বলছে, ফেসবুকে বন্ধুত্বের পর দামী উপহার দেয়ার নামে প্রতারণা করে গত কয়েক মাসে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা আত্মসাত করেছে এই চক্র। তারা অভিনব কায়দায় বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব তৈরি করে। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তারা একটি মেসেঞ্জার থেকে একটি উপহার পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। পরে মেসেঞ্জারে এসব মূল্যবান সামগ্রীর এয়ার লাইন বুকিংয়ে ডকুমেন্ট পাঠায়। এর পর এসব উপহারের বক্সে কয়েক মিলিয়ন ডলারের মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে বলেও ভুক্তভোগীকে জানায়। তারা ভুক্তভোগীকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমস গুদাম থেকে রিসিভ করতে বলে। এ সময়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী রাহাত আরা খানম ওরফে ফারজানা মহিউদ্দিন নিজেকে কাস্টমস কমিশনার পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে চার লাখ ২৫ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে বলে। তারা এই টাকা কয়েকটি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে পরিশোধের জন্য চাপ দেয়। তাদের পাঠানো উপহার সংগ্রহ না করলে তাদের আইনী জটিলতার ভয় দেখায় প্রতারক চক্রটি। সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভুক্তভোগী তাদের দেয়া বিভিন্ন ব্যাংক এ্যাকাউন্টে তিন লাখ ৭৩ হাজার টাকা জমা দেন। একইভাবে গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সারাদেশ থেকে দুই মাসের মধ্যে শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ল্যাপটপ, ১৪টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন এবং অসংখ্য সিম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার বাংলাদেশীর নাম রাহাত আরা খানম ওরফে ফারজানা মহিউদ্দিন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই অনলাইন প্রতারক চক্রের দুই নাইজিরিয়ানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সাইবার ক্রাইমের একটি ইউনিট। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিসহ বিভিন্ন ডিজিটাল আলামত, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং প্রচুর ব্যাংকের স্লিপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাইজিরিয়ান নাগরিক আলবার্ট ইকেচুকু (৩১), ওকে চুকু (২৮) এবং মোছাঃ নুপুর খাতুন। তদন্তে প্রকাশ, গ্রেফতারকৃত নাইজিরিয়ান নাগরিকের প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে বলা হয়েছে, আলবার্ট ইকেচুকু প্রথমে ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষকে ফেক আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন। তারপর টার্গেট ব্যক্তি যখন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতেন, তখন তার সঙ্গে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে মেসেজ আদান-প্রদান করতেন। এবং তিনি নিজেকে একজন আমেরিকান নাগরিক বলে পরিচয় দিতেন। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে গিফট পাঠাতে চাইতেন। গিফট পাঠানোর কথা বলে কৌশলে তার কাছ থেকে ই-মেইল এড্রেস এবং নাম- ঠিকানা সংগ্রহ করত এবং তার কয়েকদিন পর ভুয়া গিফটের ছবি তুলে তার মেসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে বলতÑ বন্ধু, তোমাকে একটি পার্সেল প্রেরণ করেছি, তুমি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রহণ কর। দ্বিতীয় নাইজিরিয়ানের প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে বলা হয়, ওকে চুকু তার সহযোগী আলবার্ট ইকে চুকুকে মোবাইল সিম সরবরাহ করাই ছিল তার প্রধান কাজ। তাছাড়া বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে আলবার্টের মতোই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাত। অপর আসামি নুপুর নিজেকে কাস্টমস অফিসার সালমা বলে পরিচয় দিত। সে ভিকটিমকে ফোন করে বলতÑ স্যার আপনার নামে একটি পার্সেল আসছে, আমরা আপনার ঠিকানা যাচাই করার জন্য ফোন করেছি। আপনার ঠিকানা মিলিয়ে নেন। তারপর বলত, স্যার আপনার ঠিকানায় পার্সেলটি পৌঁছে যাবে। তারপর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে বলতÑ স্যার আপনার পার্সেলটি স্ক্যান করে অনেক ডলার ও সোনা পাওয়া গেছে। এগুলো অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসছে। এগুলো বৈধ করতে হলে আপনাকে ডলার ও সোনা বাবদ সরকারী ট্যাক্স বাবদ টাকা জমা দিতে হবে। আর যদি টাকা জমা না করেন তাহলে মানিলন্ডারিং মামলা হয়ে যাবে বলে ভয় দেখাত এবং ভিকটিমকে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নম্বর দিত টাকা প্রেরণের জন্য। এই বিষয়ে পল্লবী থানায় সাইবার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট। রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে অনলাইন জুয়ার আসর বসিয়ে মাত্র ৪ মাসে ২ কোটি টাকা আয় করেছে একটি বিদেশী অপরাধী চক্র। এই টাকায় কেনা হয়েছে দামী গাড়ি এবং ফ্ল্যাট। আবার কয়েক কোটি টাকা বিদেশেও পাচার করা হয়েছে। চট্টগ্রামে অনলাইন জুয়াড়ি দলের ৫ সদস্যকে আটকের পর বের হয়ে আসছে দলের প্রধান ২০ বছর বয়সী শাওন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে নগদ আড়াই লাখ টাকা, ১টি প্রাইভেট কার এবং ৩ টি ল্যাপটপসহ তাদের গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিভিন্ন এ্যাপস এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। এর মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন শাওন নামে এই দলের প্রধান ৩৩ লাখ টাকা দিয়ে প্রাইভেট কার ও ১ কোটির বেশি টাকা দিয়ে সুরম্য ফ্ল্যাট কিনেছে নগরীতে। আর সব কিছু কিনেছে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে মানুষজনকে প্রতারিত করে। পুলিশের তথ্য মতে, বিশেষায়িত ৩টি ওয়েবসাইট এবং কয়েকটি এ্যাপসের মাধ্যমে চলত এই অন লাইন জুয়া। আবার আয়ের অংশ কয়েক কোটি টাকা অনলাইন মুদ্রা বিটকয়েনে কনভার্ট করে পাঠানো হয় ইউক্রেনের মাফিয়াদের কাছে। আটককৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাদের তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিআইডি গত জুনে ফেসবুকে পরিচিত হয়ে উপহার পাঠানোর নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ১৮ নাইজিরিয়ান ও দুই বাংলাদেশীসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গ্রেফতার নাইজিরীয়রা হলেন- চিরনউইয়ি ওয়েমা, এগিনা চুকবেজুকু, চিমাওবি আত্তাহ গ্যাব্রিয়েল, কেনেচুকুবু স্নালি, ওকেকে সেলেস্টাইন আবুচি, উয়েগবো স্যামুয়েল একেনে, উফোচুকবু তচুকবু উচিবেন্না, ওয়োমবো হেনরি এজিকে, চেবোয়োর নওয়ানেত ভিক্টর ও আনুরুকা গিনিকা ফ্রান্সিস। আর বাংলাদেশী দুজন হলেনÑমোঃ ইমরান হোসেন ও হারুন অর রশিদ। গ্রেফতারদের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা, ২৩টি মোবাইল ফোন, ১৫টি পাসপোর্ট এবং বিপুল পরিমাণ টি-শার্ট ও জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ধানম-ি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের-এসবির এক কর্মকর্তা বলেন, অবৈধভাবে বা বৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশী প্রতারক চক্রের প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারের পর বিদেশী নাগরিকের ডাটাবেজ তৈরির কাজ করছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি)। স্পেশাল ব্রাঞ্চের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে প্রায় ১ হাজার বিদেশীর ওপর অনুসন্ধান ও নজরদারি করেন তারা। স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডাটাবেজ অনুযায়ী, দেশে প্রায় দুই লাখ বিদেশী অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার আফ্রিকানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে যারা দেশের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এদের মধ্যে সহস্রাধিক বিদেশী নাগরিককে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ার তথ্য ও তালিকা পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাদের ওপর যথাযথ নজরদারি নেই। অবৈধ বিদেশীরা কোথায়, কী ধরনের কাজ করছে, অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিনা সেই বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি বা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগ নেই। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে যেসব বিদেশী বসবাস বা অবস্থান করছেন তাদের মধ্যে কালো আফ্রিকান নাগরিক যারা তারাই বেশিরভাগ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আফ্রিকা অঞ্চলের কিছু মানুষ তাদের পাসপোর্ট ফেলে দিচ্ছে। এর পর তাদের অবস্থানে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু অর্থলোভী নারী-পুরুষ। শুধু তাই নয়, অপরাধেও মদদ জোগানো হচ্ছে। ধরা যদি কেউ পড়েও জামিনে বেরিয়ে ফের অপরাধে জড়াচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশী অপরাধীদের শনাক্ত করার পর তালিকা তৈরি করে ফেরত পাঠানোসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কী করণীয় তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তার দাবি। গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ১১ হাজার বিদেশীকে চিহ্নিত করেছে সরকার। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কোন উদ্যোগ নেননি। কিছু দেশের দূতাবাসও বাংলাদেশে নেই। তাই তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া জটিল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে আফ্রিকাসহ নানা দেশের নাগরিক ভিসা নিয়ে বৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছেন, এমন ১১ হাজার নাগরিকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাদের ভিসা এবং পাসপোর্ট কোনটিরই মেয়াদ নেই। এদের কিছু সংখ্যক অপরাধে জড়িয়ে কারাগারে বন্দী রয়েছেন আবার কিছু সংখ্যক অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের আবার কেউ কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রতারণার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশী চক্রের তৎপরতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তার দাবি।
×