ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় মারা গেলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১১ জুলাই ২০২০

করোনায় মারা গেলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্টে দেশে আরও কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্মীপুরে এক নারী, ঝালকাঠিতে ইউপি সদস্য, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং সাতক্ষীরায় এক বৃদ্ধ। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জনের মাসহ দুই নারী, নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম (৫২), সাতক্ষীরায় এক যুবক, ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন মৃধা ও এক পুলিশ সদস্য, মাদারীপুরে এক যুবক, বগুড়ায় আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক ব্যক্তি, নওগাঁর মহাদেবপুরে একজন, রাজশাহীতে এক বৃদ্ধ (৬৫) এবং গোপালগঞ্জে এক পল্লী চিকিৎসক। এদিকে করোনাভাইরাসে নতুন করে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্মীপুরে ২৭ জন, সাতক্ষীরায় ৩১, নওগাঁয় ৩৯, ঝালকাঠিতে দুই, ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ, নারায়ণগঞ্জে ৪৫, মাগুরায় চার, নড়াইলে ১৮, নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে ২৩ জনসহ ৪৯, গোপালগঞ্জে ২৯, নোয়াখালীর হাতিয়ায় এএসআইসহ আট, হবিগঞ্জে ২৯ ও পিরোজপুরের ভা-ারিয়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ সাতজন। করোনা শনাক্ত হওয়ায় অনেক এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এদিকে করোনা জয় করে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার এসব তথ্য জানা গেছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। লক্ষ্মীপুরে শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল গাফ্ফারের বৃদ্ধ মা জাহানারা বেগমসহ দুই নারী করোনা এবং অপর এক নারী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এদের মধ্যে জাহানারা বেগম (৮০) করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলজি হাসপাতালে মারা যান। তিনি চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি যশোরের মনিরামপুরের নেহালপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমার লাশ দাফন করা হয়। অপর দুজনের মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদরের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালামের সহধর্মিণী করোনা আক্রান্ত নূরজাহান বেগম (৬০) সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। এছাড়াও রামগঞ্জের নওগাঁও ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের বাসিন্দা খোদেজা বেগম (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে বাড়ি নেয়ার পর মারা যান। এ নিয়ে জেলায় করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৫ জন। এছাড়াও নতুন করে আরও ২৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর ১৮, রামগঞ্জ সাত, রায়পুর এক এবং কমলনগরে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার নয়জনে পৌঁছায়। এদিন সুস্থ হয়েছেন আটজন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৭০ জন। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল গাফ্ফার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে লকডাউন শিথিল করার ফলে মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এতে আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে করোনা সংক্রমণ আরও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে চিকিৎসক এবং এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।
×