ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে ফের কিট সঙ্কট ॥ নমুনা পরীক্ষা নেমে এসেছে অর্ধেকে

প্রকাশিত: ২২:০১, ১১ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রামে ফের কিট সঙ্কট ॥ নমুনা পরীক্ষা নেমে এসেছে অর্ধেকে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে কিট সঙ্কটে কমেছে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা। প্রতিদিন যেখানে গড়ে প্রায় ১৪শ’ নমুনা পরীক্ষা হচ্ছিল, তা নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। দৈনিক ৩শ’র কাছাকাছি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তা নেমে এসেছে ১৬২তে। করোনায় মারা গেছেন আরও ৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২১৩। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। শুক্রবার সকালে প্রকাশিত চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৮১। এতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৬২, যা ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এদিন নমুনা পরীক্ষা কমে যায়। আগের দু’দিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল যথাক্রমে ১ হাজার ২৬৫ এবং ১ হাজার ৪৭১। বুধবার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ২৫৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ পরীক্ষা কমে যাওয়া। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, চট্টগ্রাম জেলায় বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা উন্নীত হল ২১৩ জনে। এরমধ্যে ১৫২ জন মহানগর এলাকার এবং ৬১ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রামে এখন করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ১৯৩। এরমধ্যে ৭ হাজার ৭৯৫ জন মহানগর এলাকার এবং ৩ হাজার ৩৯৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সুস্থ ১৬ জনসহ চট্টগ্রামে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১ হাজার ৩৪০ জন। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডিতে ১৮১টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮, সিভাসু ল্যাবে ৭৭ নমুনা পরীক্ষায় ১৬, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ১৩২ নমুনা পরীক্ষায় ২৫, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬২ নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ এবং বেসরকারী ইম্পেরিয়াল হসপিটালে ১৪৫ নমুনা পরীক্ষায় ৩১ ও শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৮৮ নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের একটি নমুনা পরীক্ষার হলেও নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। বৃহস্পতিবার মোট আক্রান্ত ১৬২ জনের মধ্যে ১১৭ জন মহানগর এলাকার এবং বাকি ৪৫ জন বিভিন্ন উপজেলার। উপজেলা পর্যায়ে আবারও সর্বোচ্চ সংক্রমণ ধরা পড়েছে হাটহাজারীতে। এ উপজেলায় ১৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া রাউজানে ৭, মীরসরাইয়ে ৬, বাঁশখালী ও ফটিকছড়িতে ৪ জন করে, সীতাকুন্ডে ৩ জন, রাঙ্গুনিয়া ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং আনোয়ারা, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় ১ জন করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ার কারণ সিভিল সার্জনের বক্তব্য থেকে জানা না গেলেও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন কিট সঙ্কটের কথা। কারণ, নতুন নমুনা কম পাওয়া গেলেও আগের নমুনা জমা রয়েছে। গত ২৮ জুনের পর চট্টগ্রামে এত কম নমুনা পরীক্ষা হয়নি। জরুরী ভিত্তিতে ঢাকা থেকে কিট এনে সঙ্কট সামাল দেয়া হয়েছিল। যে পরিমাণ কিট আসে তা এখন আবারও শেষ পর্যায়ে। তবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা যাই হোক না কেন আক্রান্তের হার স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার এ হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। জুন মাসে আক্রান্তের হার ৩০ ছাড়ালেও গত এক সপ্তাহ ধরে এ হার রয়েছে ১৯ থেকে ২১ শতাংশের মধ্যে।
×