ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে পদ্মার ভাঙ্গন শুরু

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ৯ জুলাই ২০২০

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে পদ্মার ভাঙ্গন শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর ॥ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে পদ্মার পেটে গেছে উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারের ৩০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভঙ্গন আতঙ্কে চেয়ারম্যান স্টেশন বাজার থেকে আরও ২০টি দোকানঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। আর এ ভাঙ্গনে ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন বাজার, কাঁচিকাটা ও গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এসব এলাকায় ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ গাছ-পালা ও কয়েকশ’ একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী দিদার হোসেন সরকার ও আব্দুল খালেক বলেন, গত এক সপ্তাহে চেয়ারম্যান স্টেশন বাজার এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ৩০টির বেশি দোকানঘর মালামালসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেল। দোকানের আয় ছিল আমাদের সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর আল নাসীফ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারে ভাঙ্গনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভঙ্গন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোতের কারণে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের দুই বান টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব বলেন, গত কয়েক দিনে পদ্মার ভাঙ্গনে তারাবুনিয়া স্টেশন বাজারের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন কবলিত ওই স্থানের ৩০০ মিটার এলাকায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে।
×