ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৩২ লাশ উদ্ধার ষ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর শোক সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি উদ্ধার কাজসহ সার্বিক দিক মনিটর করছেন প্রধানমন্ত্রী

বুড়িগঙ্গা ট্র্যাজেডি ॥ ময়ূরের ধাক্কায় ডুবে গেল মর্নিং বার্ড

প্রকাশিত: ২২:২৫, ৩০ জুন ২০২০

বুড়িগঙ্গা ট্র্যাজেডি ॥ ময়ূরের ধাক্কায় ডুবে গেল মর্নিং বার্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরান ঢাকার শ্যামবাজার এলাকা লাগোয়া বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে সোমবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ৩২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। লঞ্চটি কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তবে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বলছেন, লঞ্চটিতে যাত্রী ছিল কমপক্ষে এক শ’র উপরে। উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব ও নৌ পুলিশ। উদ্ধার অভিযান বিরতিহীনভাবে চলবে। ভাটির দিকে লাশ ভেসে উঠছে কিনা সে বিষয়ে তদারকি ও টহল অব্যাহত থাকবে। চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা আর লাশ দাফনের জন্য বিশ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। ঘটনা তদন্তে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। লঞ্চ ডুবির ঘটনার পর উদ্ধার কাজসহ সার্বিক দিক মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। এমন ঘটনার পর বুড়িগঙ্গার নদীর দুই পাড় যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের কান্না আর দীর্ঘশ্বাসে সেখানকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবেও নৌকা ও ট্রলার নিয়ে স্বজনদের লাশ ভাঁটিতে খুঁজছেন। লাশ কোথাও ভেসে উঠেছে কিনা তার সন্ধান করছেন তারা। যেভাবে ধাক্কা লাগে দুই লঞ্চের ॥ স্থানীয়রা এবং লঞ্চ থেকে সাঁতরে তীরে ওঠে আসা যাত্রীদের বক্তব্য, তখন সকাল দশটার মতো বাজে। মুন্সীগঞ্জ থেকে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ছেড়ে আসে। মুন্সীগঞ্জ-ঢাকা, ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ নৌপথে যেসব লঞ্চ চলাচল করে, তা সবই দু’তলা। দোতলা মনিং বার্ড লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ ঘাট থেকে ছেড়ে আসে। সেটি কাঠপট্টি নামের একটি ছোট নৌ টার্মিনালে থামার কথা। যথারীতি তার প্রস্তুতিও চলছিল। সারেং লঞ্চটি ঘাটে ভেড়াতে যাবেন। ঘাট থেকে আনুমানিক পাঁচ শ’ গজ দূরে লঞ্চটি ছিল। যেটিকে মোটামুটি মাঝ না বললেও কাছাকাছি বলা যায়। কারণ তুলনামূলক ছোট লঞ্চগুলো নিরাপত্তার জন্য সাধারণত নদীর একপাশ দিয়ে যাতায়াত করে। যদিও সব সময় সেটি সারেং ইচ্ছে করলেও করতে পারেন না। কারণ তীরের দিকে পানির গভীরতা কম থাকে। তাতে আবার নিচের দিকে লঞ্চ কোন সময় আটকে যায়। অন্যান্য সময় এসব লঞ্চে এক শ’ থেকে সোয়া শ’ যাত্রী থাকে। করোনার কারণে লঞ্চে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হয়েছিল। এজন্য যাত্রী ছিল ৫০ থেকে ৬০ জনের মতো। ভেড়ানোর সময় চাঁদপুর থেকে ময়ূর-২ নামের একটি বহুতল লঞ্চ দ্রুতগতিতে সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিল। লঞ্চটির গতি ছিল অনেক। লঞ্চটি ব্যাপক গতি নিয়ে যাচ্ছিল। মনিং বার্ডের যাত্রীদের ধারণা ছিল ময়ূর লঞ্চটির গতি হয় তো সারেং কমাবেন। কিন্তু কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই লঞ্চটি সোজা ছোট লঞ্চটির মাঝ বরাবার প্রচন্ড গতিতে ধাক্কা দেয়। ছোট লঞ্চটি গতি সামলাতে না পেরে একদিকে কাত হয়ে যায়। এতে পুরো লঞ্চের লোকজন কাত হয়ে যাওয়ার দিকে জড়ো হয়। আর লঞ্চটি সেদিকেই ভারি হয়ে যায়। এতে দ্রুত মর্নিং বার্ড ডুবে যায়। লঞ্চজুড়ে চিৎকার কান্নাকাটি শুরু হয়। কেউ কেউ জানালা দিয়ে বের হতে পারেন। আবার অনেকেই করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কেবিনে বসে থাকেন। বাইরে যারা বিশেষ করে ছাদে বা ইঞ্জিনের পেছন দিকে যারা ছিলেন তাদের অনেকেই বের হতে পেরেছেন। তবে নিচে এবং কেবিনে যারা ছিলেন তারা আর বের হতে পারেননি। লঞ্চটিতে যাত্রী ছাড়াও সারেং, একজন টিকেট মাস্টার ও লঞ্চের ইঞ্জিন দেখভাল করার জন্য দুইজন ছিলেন। উদ্ধার তৎপরতা ॥ ডুবে যাওয়া লঞ্চের আশপাশের নৌকা ও লঞ্চের যাত্রীরা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধার কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। পাশাপাশি স্থানীয়রা এবং নিখোঁজদের অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছোট নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ভাঁটির দিকে স্বজনদের লাশ ভেসে উঠেছে কিনা তা দেখছেন। যদিও একই কাজ উদ্ধারকারীদের একাধিক টিমও করছে। একের পর এক লাশ উদ্ধার হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন। এছাড়া সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উদ্ধার কাজ তদারকি করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বিআইডব্লিউটিএয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এদিকে ঘটনাস্থলে র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। কোন ধরনের তথ্য পাওয়া মাত্রই তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সরাসরি উদ্ধার কাজে অংশ নেয়াদের। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ পোস্তগোলা সেতুতে আটকে আছে ॥ ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ড উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়কে ডাকা হয়। জাহাজটি যথারীতি তাৎক্ষণিক রওনা হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সেটি বুড়িগঙ্গার উপর দিয়ে যাওয়া পোস্তগোলা সেতুর কাছে আসে। তবে জাহাজটি ব্রিজের নিচ দিয়ে আসতে পারছে না। কারণ জাহাজের মাস্তুলের উচ্চতা ব্রিজের চেয়ে বেশি। শুকনো মৌসুমে উদ্ধারকারী জাহাজ আসতে পারলেও, বর্ষার কারণে নদীতে পানি বেড়েছে। এজন্য আর আসতে পারছে না। এজন্য দেশীয় পদ্ধতিতে তুলনামূলক ছোট ছোট জাহাজ দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চের মালিক ও সারেংসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা ॥ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দুই লঞ্চের, মালিক ও সারেংসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে নৌপুলিশ। সারেং ও তাদের সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য পেতে লঞ্চ মালিকদের খোঁজা হচ্ছে। নিয়ম নীতি মেনে লঞ্চ দুইটি চলছিল কিনা তা দেখা হচ্ছে। আর এ ধরনের লঞ্চ চালানোর জন্য সারেংদের যে অভিজ্ঞতা লাগে, তা ছিল কিনা তারও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। নদীর দুই পাড়ে আর নদীতে গগণবিদারী আর্তনাদ আর আহাজারি ॥ লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নদীর দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। আবার অনেকেই নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে গেছেন। তাদের কান্নায় সেখানকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আছে। স্বজনদের কান্নায় কাঁদছে হাজার হাজার মানুষ। উদ্ধারের পর লাশগুলো মাঝ নদীতে নৌযানে সারি সারি করে রাখা হচ্ছে। লাশগুলো মোটা পলিথিনের তৈরি লাশ রাখার বিশেষ সাদা ব্যাগে রাখা হচ্ছে। মানে লাশের মিছিল। অনেকেই বাধা উপেক্ষা করে লাশ রাখা নৌযানে ওঠে যাচ্ছেন। তারা লাশের উপর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন। সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে লাশের সারি ॥ উদ্ধারের পর লাশগুলো একে একে এ্যাম্বুলেন্সে করে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই লাশ নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জনকণ্ঠকে জানান, সন্ধ্যা সোয়া সাতটা নাগাদ ৩২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে ২১ পুরুষ, ৮ নারী ও ৩ শিশু। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ॥ নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। লঞ্চডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ ঘোষণা দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া লাশ দাফনের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (উন্নয়ন ও পিপিপি সেল) মোঃ রফিকুল ইসলাম খানকে। নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী জানান, কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআইডব্লিউটিএ-এর তদন্ত কমিটি ॥ লঞ্চডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। এ ঘটনার কারণে সদরঘাট থেকে অন্যান্য নৌযানের ছেড়ে যাওয়া এবং আসায় বিঘ্ন ঘটেছে। বিএনপির শোক ॥ লঞ্চডুবিতে নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও জানান তিনি। জাতীয় পার্টির শোক ॥ লঞ্চডুবিতে শোক জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়েছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং জাতীয় পার্টি মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় এ কথা জানানো হয়। ন্যাপের শোক ও দোষীদের শাস্তি দাবি ॥ লঞ্চডুবির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ। ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এক শোক বাণীতে এ কথা জানান। মৃতদের পরিচয় ॥ বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে মৃতদের মধ্যে ৩০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। সোমবার রাত বারোটা পর্যন্ত বাকি দুই জনের পরিচয় জানা যায়নি। সোমবার পুরান ঢাকার শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। একে একে ৩২ জনের লাশ উদ্ধার হয়। যার মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ৮ জন নারী ও ৩ জন শিশু। আরও নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। সেজন্য উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। নিহতরা হলেন, সত্যরঞ্জন বণিক (৬৫), মিজানুর রহমান (৩২), শহিদুল (৬১), সুফিয়া বেগম (৫০), মনিরুজ্জামান (৪২), সুবর্ণা আক্তার (২৮), মুক্তা (১২), গোলাম হোসেন ভুঁইয়া (৫০), আফজাল শেখ (৪৮), বিউটি (৩৮), ছানা (৩৫), আমির হোসেন (৫৫), মোঃ মহিম (১৭), শাহাদাৎ (৪৪), শামীম ব্যাপারী (৪৭), মিল্লাত (৩৫), আবু তাহের (৫৮), দিদার হোসেন (৪৫), হাফেজা খাতুন (৩৮), সুমন তালুকদার (৩৫), আয়শা বেগম (৩৫), হাসিনা রহমান (৪০), আলম বেপারী (৩৮), মারুফা (২৮), শহিদুল হোসেন (৪০), তালহা (২), ইসমাইল শরীফ (৩৫), সাইফুল ইসলাম (৪২), তামিম ও সুমনা আক্তার (৯)।
×