ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেজিংয়ে সামুদ্রিক খাবারে ভয়াবহ মাত্রায় ভাইরাস!

প্রকাশিত: ২২:২২, ২৭ জুন ২০২০

বেজিংয়ে সামুদ্রিক খাবারে ভয়াবহ মাত্রায় ভাইরাস!

চীনের রাজধানী বেজিংয়ের পাইকারি খাদ্য বাজারের মাংস ও সামুদ্রিক খাবারে ভয়াবহ মাত্রায় নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এলাকাটিতে কম তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বেশি হওয়াই ভাইরাসের মাত্রা বাড়ার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। শিনহুয়া। বেজিংয়ে বৃহত্তম সিনফাদি বাজার থেকে গত সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ সামাল দেয়ার চেষ্টার মধ্যে খাবারে ভাইরাসের মারাত্মক উপস্থিতি ধরা পড়ার প্রাথমিক এ রিপোর্ট দিলেন কর্মকর্তারা। বেজিংয়ের ৮০ শতাংশ সবজি এবং মাংস সরবরাহ হয় সিনফাদি বাজার থেকে। বাজারটিতে খাদ্য গুদাম আছে এবং সেখানে প্রতিদিন ১৫ হাজার টন সামুদ্রিক খাবার, টন টন সবজি ও ফল কেনাবেচা হয়। বেজিংয়ে গত ফেব্রুয়ারির পর ১১ জুনে আবার নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। সিনফাদি বাজারে কাজ করা যাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের বেশিরভাগই সামুদ্রিক খাবার এবং জলজ পণ্য কেনাবেচার কাজ করেছেন। অন্যরা মাংস কেনাবেচার কাজ করেছেন। তবে সামুদ্রিক খাবারের বাজারের কর্মীদের মধ্যে অন্যদের চাইতে সংক্রমণ ধরা পড়েছে আগে। বৃহস্পতিবারের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন এ্যান্ড কন্ট্রোল’ এর প্রধান উ সানিউ। তিনি বলেন, কম তাপমাত্রা ভাইরাস টিকে থাকার জন্য অনুকূল। তাছাড়া, বেশি আর্দ্রতার কারণেও সামুদ্রিক খাবারের বাজারগুলো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের উৎস হতে পারে। প্রাথমিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে এমন ধারণাই পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা দরকার বলেও জানান উ। গত সপ্তাহে সিনফাদি বাজারে আমদানি করা স্যামন মাছ কাটার চপিং বোর্ডে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানিয়েছিল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এরপরই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় চীন ইউরোপ থেকে স্যামন আমদানি বন্ধ করেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমনকী স্যামন মাছ না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। চীনের পাইকারি খাবারের বাজারগুলোতে নোংরা পরিবেশ এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ভাল না হওয়ায় এসব স্থান ভাইরাসের উৎস হয়ে উঠছে।
×