সঙ্গী শুধু গাছেরা
করোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘ সময়ের লকডাউন কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরছে স্পেন। এই আবহে গত সোমবার খুলে গেল বার্সিলোনার গ্রান তেয়াত্র দেল লিসিউ অপেরা হাউসও। যদিও প্রত্যাবর্তনের শুরুটা হলো চমক দিয়েই। কানায় কানায় ভরা প্রেক্ষাগৃহে মিউজিশিয়ানদের পারফর্মেন্স নতুন নয়। তবে দর্শকাসনে মানুষের বদলে উপস্থিত ছিল ২২৯২ গাছ! আর লাইভ স্ট্রিমিংয়ে পুরো অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলেন উৎসাহী মানুষেরা। চমকপ্রদ ওই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনায় ইউহেনিও আমপুদিয়া। অপেরা হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সক্রিয় জীবনে ফেরার পর্বে শিল্প, সঙ্গীত ও প্রকৃতির মেলবন্ধনকে প্রতীকী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নার্সারি থেকে এই গাছগুলো কেনা হয়েছে। বার্সিলোনার বিভিন্ন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে তুলে দেয়া হয় একটি করে গাছ। করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে প্রেক্ষাগৃহসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। দূরত্ববিধি মেনে সামান্য দর্শককেই সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। -ওয়েবসাইট
নাসার নতুন নামকরণ
কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)। সংস্থাটি তাদের সদর দফতরের নাম পরিবর্তন করে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রকৌশলীর নামে নামকরণের ঘোষণা দিয়েছে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের বর্বর নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর জনগণের ক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত মার্কিন পুলিশে সংস্কার আনার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙা হয়েছে শ্বেতাঙ্গ ঔপনিবেশিক শাসকদের ভাস্কর্য। জাতিগত অসমতা নিয়ে বিতর্কের মুখে ত্বক ফর্সা করার ক্রিম বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে জনসন এ্যান্ড জনসন। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন নাসার পদক্ষেপ। নাসার সদর দফতর ভবনে নাম পরিবর্তন করে ‘মেরি উইলিয়াম জ্যাকসন’ নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংস্থাটির প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইন ঘোষণাটি দেন। মেরি মার্কিন মহাকাশ সংস্থার প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী প্রকৌশলী। ১৯৫০-এর দশকে ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে অবস্থিত নাসার ল্যাংলে রিসার্চ সেন্টারে কর্মজীবন শুরু করেন মেরি জ্যাকসন। মহাকাশ সংস্থার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রকৌশলী হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত বছর নাসার ওই ভবনের নাম রাখা হয়েছিল ‘হিডেন ফিগারস ওয়ে’। মূলত মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় আগে যেসব আফ্রিকান-আমেরিকান নারী কর্মী ছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওই নামকরণ করা হয়েছিল। তবে এখন আর গোপন নয়, তাদের প্রকাশ্যেই সামনে আনতে চাইছে নাসা। জিম ব্রিডেনস্টাইন বলেছেন, আর অপ্রকাশ্য নয়, নারী, আফ্রিকান আমেরিকানসহ যারা নাসার সাফল্যের ইতিহাসের নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের সবার নামকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। -সিবিএস নিউজ
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: