ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সানিয়াকে বিয়ের সময় চাপে ছিলেন না শোয়েব

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ২৪ জুন ২০২০

সানিয়াকে বিয়ের সময় চাপে ছিলেন না শোয়েব

শাকিল আহমেদ মিরাজ \ ভারত-পাকিস্তান চিরবৈরী দুই দেশ। ভৌগোলিক অবস্থান, প্রতিবেশী, সংস্কৃতি কিংবা ক্রীড়াঙ্গানÑ কোন অবস্থান থেকে একের প্রতি অন্যের এতটুকু শ্রদ্ধা নেই। ২০১০ সালে পাকিস্তান ক্রিকেটার শোয়েব মালিক যখন ভারতীয় টেনিস কুইন সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করেন গোটা উপমহাদেশই তখন নড়েচড়ে বসেছিল। এও কী সম্ভব! প্রতিটি মুহূর্ত যেখানে সম্পর্কের চোরা¯্রােত, টেনশন, রেষারেষি, সেখানে এ বাঁধন তারা বয়ে বেড়াবেন কী করে? তবে টেনশন ছিল না শোয়েবের মনে। তাই তো বিয়ের দশ বছরেও দিব্যি সংসার করে যাচ্ছেন। তুখোড় পাকিস্তান অলরাউন্ডার নিজেই জানিয়েছেন, রাজনৈতিক চাপান-উতোর নিয়ে এতটুকু চাপে ছিলেন না তিনি। কারণ তিনি রাজনীতিবিদ নন। ‘না, একেবারেই চিন্তিত ছিলাম না। বিয়ের ক্ষেত্রে সঙ্গী কোথাকার, দুই দেশের সম্পর্ক কেমন বা রাজনীতির কথা মাথায় আসে না। আর সেগুলো আমাদের এখতিয়ারেও পড়ে না। কাউকে ভালবাসলে তাকে বিয়ে করাই আসল। এর বাইরে সে কোন দেশের তা একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বৃহত্তর দৃষ্টিকোণে যদি দেখি আমার অনেক ভারতীয় বন্ধু রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের কারণে আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। আর আমি ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদ নই’ বলেন শোয়েব মালিক। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শোয়েব মালিকের। দু’জনে দুই দেশের। তার ওপর সানিয়া খেলেন টেনিস, শোয়েব ক্রিকেট। এখনও একসঙ্গে খুব একটা সময় কাটাতে পারেন না। লকডাউনের সময় শোয়েব ছিলেন পাকিস্তানে। সানিয়া ভারতে। পাঁচ মাস স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে দেখা হয়নি শোয়েবের। অবশেষে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ওয়াসিম খান জানিয়েছেন, শোয়েবের অনুরোধ মেনে নিয়ে তাকে ছুটি দেয়া হয়েছে ট্রেনিং থেকে। পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরের টি২০ দলে আছেন শোয়েব। ২৮ জুন ইংল্যান্ডে রওনা হবে পাকিস্তানের ক্রিকেট দল। প্রথমে দুই সপ্তাহ ডার্বিশায়ারে কোয়রেন্টাইনে থাকবেন ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের প্রস্তুতি থেকে চার সপ্তাহের ছুটি ২১ বছর ধরে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়া শোয়েবের সম-সাময়িক অনেকে এখন কোচ কিংবা নির্বাচকের ভ‚মিকায়। অথচ শোয়েব ৩৮-এও টগবগে তরুণ। ব্যাট বলের ধার কমেনি। টেস্ট-ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও টি২০ খেলে যাচ্ছেন, ‘এখন আমি অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি ফিট। এখনও আমার মধ্যে ক্রিকেট খেলার ক্ষুধা ও তাড়না রয়েছে। অবসরের আগে কিছু লক্ষ্যপূরণ করা বাকি রয়েছে আমার। তবে আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার মিডিয়ায় কাজ করতেই পছন্দ করব। হয়তো আমার নিজের কোন অনুষ্ঠান থাকবে এবং ধারাভাষ্য ও স্টুডিওতে কাজ করব।’ আগামী অক্টোবর-নবেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দারুণ কিছু করবে বলে বিশ্বাস মালিকের। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের গর্বিত সদস্য মালিক এবারও শিরোপার সাক্ষী হতে চান।
×