ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিটিসিএলের সব সেবা অনলাইনেই

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ২৩ জুন ২০২০

বিটিসিএলের সব সেবা অনলাইনেই

ফিরোজ মান্না ॥ বিটিসিএল পুরোপুরি অটোমেশনে চলে যাচ্ছে। অটোমেশনের কাজ শেষ হলে বিটিসিএলের সব ধরনের সেবা অনলাইনেই পাওয়া যাবে। অটোমেশনের অংশ হিসেবে নতুন টেলিফোন সংযোগের জন্য অনলাইনে আবেদন করার সুবিধা চালু করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণজনিত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে গ্রাহকবৃন্দের জন্য এ সুবিধা তৈরি করেছে বিটিসিএল। এন্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লেলে-স্টোর থেকে টেলিসেবা (ঞবষবংযবনধ) এ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করে অথবা বিটিসিএলের ওয়েবসাইট িি.িঃবষবংযবনধ.মড়া.নফ ’র মাধ্যমে টেলিফোনের নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করা যাবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশব্যাপী বিনামূল্যে টেলিফোন সংযোগের অফার চলছে। শুধু জামানতের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। বিটিসিএলকে গ্রাহকবান্ধব করার উদ্দেশে আরও বেশ কয়েকটি সেবা অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। বিটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ল্যান্ডফোনকে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকিয়ে রাখতে গ্রাহকদের জন্য নানা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ল্যান্ড টু ল্যান্ড ফোনে সারাদেশে দিনরাত কথা বললে মাসে মাত্র দেড় শ’ টাকা বিল নির্ধারণ করা হয়েছে। বিটিসিএল ইন্টারনেট অনেক সস্তায় গ্রাহককে দেয়া হচ্ছে। মুজিব বর্ষকে কেন্দ্র করে বিটিসিএলের আরও অনেকগুলো প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন আবার কিছু মানুষ বিটিসিএলের দিকে ঝুঁকছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু টেলিফোন সংযোগ দেয়া হয়েছে। মোবাইলের কারণে ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব অনেকাংশে কমে গেছে। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য বিটিসিএল নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। অনেকেই এখন বিটিসিএল মুখী হচ্ছেন। আগে যাদের লাইন বন্ধ ছিল বছরের পর বছর তারাও কানেকশন পুনর্স্থান করছেন। এটা বিটিসিএলের জন্য ভাল একটি দিক। গ্রাহক সেবার জন্য এখন আর আগের মতো লাইনম্যানের ওপর ভরসা করে থাকতে হবে না। অনলাইনে জানিয়ে দিলেই অল্প সময়ের মধ্যে লাইন ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ব্যাংকে না গিয়ে বাসায় বসে অনলাইনে জামানতের টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই চালু করা হবে। ফলে বিটিসিএলের টেলিফোন বা ইন্টারনেট সার্ভিস গ্রহণের জন্য আর বাসার বাইরে বা বিটিসিএল অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। গত বছরের অক্টোবর মাসে ‘টেলিসেবা’ এ্যাপ চালু করা হয়। ওই এ্যাপের মাধ্যমে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিসের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ায় এবং বিল পরিশোধের সুবিধা থাকায় তা ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। গ্রাহকসেবার মান উন্নয়নের জন্য বিটিসিএলের অন্যান্য সেবাও অনলাইনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এদিকে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিডেনসিটি ও টেলিএক্সেস সুবিধা সম্প্রসারণ করার জন্য ‘মডার্নাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’ নামে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। প্রকল্পে এক হাজার ৮১৭ কোটি টাকা ঋণ সহযোগিতা দেবে চীন। বাকি টাকা সরকার দেবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে, ই-গবর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন, ই-সাইন্স, ই-কৃষিসহ অন্যান্য সেবা সহজেই পাওয়া যাবে। অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন ছাড়া এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের খুব বেশি অগ্রগতি নেই। বিটিসিএল জানিয়েছে, নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে অপটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
×