ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অপূর্ব-অদিতির বিচ্ছেদ

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ১৯ মে ২০২০

অপূর্ব-অদিতির বিচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর সঙ্গে ৯ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানার কথা জানিয়েছেন তার স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিয়ে বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন অদিতি। প্রোফাইলের ব্যক্তিগত তথ্যে ডিভোর্স হিসেবে পারিবারিক সম্পর্কের তথ্য হালনাগাদ করেন তিনি। অদিতি এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তুলে ধরেন তার বক্তব্য। তিনি লেখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। মোহাম্মদ জিয়াউল ফারুক অপূর্ব একজন অমায়িক বাবা, ভাই, দায়িত্বশীল পুত্র এবং একজন ভাল মানুষ। লাখো ভক্তের কাছে তিনি অসম্ভব মেধাবী, যা তিনি নিজেই উপার্জন করেছেন। তিনি সেখানেই তার যোগ্য। তার ব্যক্তিগত জীবন দিয়ে নয়, দয়া করে তার অসাধারণ কাজগুলো দ্বারা তাকে বিচার করুন। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা অসংখ্য কারণে একসঙ্গে থাকছি না। তবে আমি তার জন্য সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করছি। তিনি আমাকে আমার সেরা উপহার দিয়েছেন, যেটা আমার পুত্র আয়াশ। সেই সঙ্গে দিয়েছে পরিবারের সুন্দর সদস্যদের ভালবাসা। অদিতি আরও লিখেছেন, এমন একটা সিদ্ধান্তের জন্য দয়া করে আমাদের কাউকে বিচার করবেন না। আপনারা আমাদের সবসময় ভালবেসে এসেছেন এবং সমর্থন করেছেন, আমরা আশা করি এটি আপনারা অবিরত রাখবেন। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে আমি বলতে চাই দয়া করে এই বিষয়ে কোন ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করবেন না। আমাদের সকলের জন্য প্রার্থনা করুন। সবাই নিরাপদে থাকুন। রবিবার রাতে এক ইংরেজী স্ট্যাটাসে অপূর্ব ডিভোর্সের কথা স্বীকার করেছেন। অপূর্ব যা লিখেছেন তার কিছু অংশ এমন, বেদনার সঙ্গে আমি সবাইকে জানাচ্ছি যে নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে আমার ৯ বছরের দুর্দান্ত যাত্রাটি অপ্রত্যাশিতভাবে থেমে গেল। আমরা এমনটা চাইনি। তবে আমাদের জীবন এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। এত বছর যাবত আমরা একসঙ্গে ছিলাম। সে সর্বদা দুর্দান্ত একজন সঙ্গী এবং সত্যিকারের শুভাকাঙ্খী ছিলেন। আমার অনেক সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে অদিতি। সে এক আশ্চর্য ব্যক্তি, একজন আত্মবিশ্বাসী উদ্যোক্তা এবং সর্বোপরি অত্যন্ত দয়ালু এবং মানবিক ব্যক্তি। অপূর্ব আরও বলেন, যদিও আমি আমার ক্যারিয়ারে অনেক অর্জন করেছি, তবুও আমার সর্বকালের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের ছেলে আয়াশ। পিতৃত্বের এই দুর্দান্ত উপহারের জন্য আমি নাজিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ। সে একজন অনুকরণীয় মা।
×