ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় অর্থনীতি চাঙ্গা থাকবে ॥ ১৪ দল

প্রকাশিত: ১০:০৩, ৬ এপ্রিল ২০২০

 প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় অর্থনীতি চাঙ্গা থাকবে ॥ ১৪ দল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত পাঁচ দফা প্রণোদনা প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। রবিবার কেন্দ্রীয় ১৪ দলের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। সঠিক সময়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে ১৪ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, দুর্যোগময় এই সময়ে আশা জাগানিয়া এই প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন প্রয়োজন এটির দ্রুত বাস্তবায়ন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে ১৪ দলের নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে উদ্ভূত পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলবে। তবে করোনার প্রভাবে অর্থনীতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগান্তকারী ও বাস্তবসম্মত প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তা দ্রুত বাস্তবায়িত হলে অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তার সুবিধা কৃষক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ পাবে। ১৪ দলের নেতারা বলেন, ভিক্ষুক থেকে শুরু করে শিল্পপতি সবাইকে এই প্যাকেজের সহায়তার আওতায় এনে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তা সর্বমহল কর্তৃক অভিনন্দিত হয়েছে। করোনা মহামারীতে সারাবিশ্ব আজ আক্রান্ত। এটি কতদিন থাকে আমরা জানি না। শুধু বাংলাদেশের নয়, সারাবিশ্বের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব রয়েছে। তাছাড়া এখন বিশ্বের এক প্রান্তে কিছু ঘটলে তা অপর প্রান্তের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে। তবে এই পরিস্থিতিতে জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক মানুষের পাশে আছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বস্তরের মানুষ এখন ঘরে বন্দী হয়ে আছে। অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানছেন। এই সময়ে হঠাৎ করে গার্মেন্টস খোলা রাখার ঘোষণা দিয়ে লাখ লাখ শ্রমিককে ঘরের বাইরে আনা হয়েছে। এটা অমানবিক ও স্বেচ্ছাচারিতা। কিছু অবিবেচক গার্মেন্টস মালিকদের এই সিদ্ধান্তটি দেশে সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি করেছে। যখন মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে, অনেক কষ্ট করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ঘরে রাখার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে, সেই সময় বিজিএমইএ’র দায়িত্বহীন নেতৃত্ব একের পর এক বিপরীতমুখী সিদ্ধান্ত দিয়ে হঠাৎ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। যা কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। গার্মেন্টস মালিকদের এই অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তে আমরা বিস্মিত হয়েছি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণীর মানুষের জন্য একটি সমাধানের পথ পাতিয়েছেন, তখন এই গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের এই আচরণ খুবই দুঃখজনক। ১৪ দলের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি এমপি, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান ও বাসদের রেজাউর রশীদ খান।
×