ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় কুইনাইন গ্রুপের ওষুধ কেনার হিড়িক

প্রকাশিত: ১২:১০, ২৬ মার্চ ২০২০

গাইবান্ধায় কুইনাইন গ্রুপের ওষুধ কেনার হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৫ মার্চ ॥ করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় হঠাৎ করে গাইবান্ধা জেলায় কুইনাইন গ্রুপের ওষুধ কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিকোনিল, ক্লোরোকুইন, এ্যাবলোকক্লোক, এ্যাবলোকুইন, জ্যাসোকুইন এই ধরনের কুইনাইন গ্রুপের ওষুধ খেলে করোনাভাইরাস দমনের কাজ করে এই ভুয়া বানোয়াট ভিত্তিহীন গুজবের ভিত্তিতে বিক্রির হিড়িক পড়েছে। উল্লেখ্য, এই জেলার বাইরে অন্য জেলা থেকে প্রতি পাতা ১০টি এসব ১০/১২ টাকা মূল্যের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে রেজিস্ট্রাড ওষুধের দোকানের মালিকরা বলছে, এটি একটি গুজব। এসব ওষুধ রেজিস্ট্রাড ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া দেয়ার কোন নিয়ম নেই। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এসব ওষুধ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে গোপনে। যা কোনক্রমেই সঙ্গত নয়। এ ব্যাপারে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ কুইনাইন গ্রুপের ওষুধ এমনিতে খেলে রক্ত শূন্যতাজনিত অসুখ, লিভারের সমস্যা এবং প্রচ- শারীরিক দুর্বলতাসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং সুনির্দিষ্ট অসুখ ছাড়া এবং রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনক্রমেই এই ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগী শূন্য নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, ২৫ মার্চ ॥ করোনাভাইরাসজনিত কারণে রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ডেলিভারি রোগী ছাড়া কেউ ভর্তি হচ্ছেন না। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি হলেও ভর্তি হয়েছেন চার জন। পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডসহ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ডই এখন রোগী শূন্য। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি চারজনের সবাই ডেলিভারি রোগী। জরুরী বিভাগ এবং আউটডোরেও কমেছে রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জরুরী বিভাগে ৫০ জন, আউটডোরে মহিলা ২৫ জন, পুরুষ ৩৫ জন ও ১৭ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে বলে সূত্র জানায়। যেখানে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ শ’ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসত এখানে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহীনুল আলম সুমন বলেন, আমাদের ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্টাফ হাসপাতালে রয়েছে। মঙ্গলাবার রাতে ছয়জন প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি করার পর দুজন বাড়িতে চলে গেছে।
×