ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে বিদেশ ফেরতের বাড়িতে লাল পতাকা

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ২৫ মার্চ ২০২০

যশোরে বিদেশ ফেরতের বাড়িতে লাল পতাকা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বিদেশ ফেরত তিন হাজার ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা টাঙ্গানো শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য বিদেশফেরত ও তাদের পরিবারের মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকানো যায়। বিদেশফেরতসহ তাদের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে লাল নিশানা টাঙ্গাচ্ছে প্রশাসন। পাশাপাশি এর মাধ্যমে করোনার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি-পরিবার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বার্তাও দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, তিন হাজার বিদেশফেরত সদর উপজেলায় অবস্থান করছে। গত সোমবার থেকে বিদেশফেরত এসব ব্যক্তির বাড়িতে লাল নিশানা টাঙ্গানো চলছে। মঙ্গলবারও যশোরের বিভিন্ন ইউনিয়নে এই পতাকা টাঙ্গানোর কাজ চলছে। করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে এমনটি করা হচ্ছে। এতে করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ও তার পরিবার সম্পর্কে যেমন সতর্ক থাকা যাবে। সে জন্য তাদের গতিবিধির ওপর প্রশাসনের নজরদারিও সহজ হবে। এদিকে, যশোর জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে ১ হাজার ৩শ’ ৫৬ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনমুক্ত হয়েছে ৪৮ জন। বিদেশফেরতসহ তাদের সংস্পর্শে আসা তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কাউকে বাড়ির বাইরে বের না হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টানা ১৪ দিন তাদের বাড়ির ভেতর সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিদেশফেতরদের পাশাপাশি তাদের পুরো পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। করোনা সতর্কতার চিহ্ন হিসেবে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল পতাকা (নিশানা) টাঙ্গানো হচ্ছে। যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান জানান, উপজেলায় বিদেশ ফেরত কারো মধ্যে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। কিন্তু সতর্কতার অংশ হিসেবে তাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত চার মার্চের পর দেশে ফিরেছে তিন হাজার লোক। তাদের বাড়িতে লাল নিশানা টানানো হবে। গত সোমবার থেকে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে এই লাল নিশানা টানানো শুরু হয়েছে। এছাড়া গত ৯ থেকে ১৮ মার্চ যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, বিশেষ করে যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তাদের বাড়িতে লাল নিশানা দেয়ার কাজ চলছে। প্রত্যেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিদেশফেরতদের বাড়িতে লাল নিশানা লাগাচ্ছে। কালকিনি নিজস্ব সংবাদদাতা কালকিনি থেকে জানান, মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার থানা পুলিশের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৩১ বাড়িতে লাল নিশানা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রশাসন এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে সারাদিন প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্টিকার লাগিয়ে দিয়ে তাদের আইনের নির্দেশ পালন করার পরামর্শ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সহকারী জেলা পুলিশ সুপার বদরুল আলম, কালকিনি থানার ওসি মোঃ নাছির উদ্দিন মৃধা ও ডাসার থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব প্রমুখ। উপজেলার ডাসার থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, প্রবাসীর বাড়িতে এ লাল স্টিকার লাগানো হয়েছে। এ স্টিকার বিদেশফেরত সবার বাড়িতে লাগানো হবে। নীলফামারীতে জরিমানা স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, সৈয়দপুর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় দুই জনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাত ১০টার দিকে শহরের সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটের সামনে ঢাকা খেলাঘরের মালিক কিশোর কুমার প্রসাদকে (৩৮) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সে শহরের মুন্সিপাড়া মহল্লার হিরা লাল প্রসাদের ছেলে। অপরজন মাহবুবুর রহমান মিঠুকে (৩৫) মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া এবং এলাকায় ঘোরাঘুরি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সে মুন্সিপাড়া মহল্লার আনসার আলীর ছেলে। সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এই জরিমানা আদায় করেন।
×