ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজহারের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে

প্রকাশিত: ১০:২০, ১৭ মার্চ ২০২০

আজহারের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে

বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আলবদর কমান্ডার নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছেছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামসহ অন্য দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর লাল কাপড়ে মুড়িয়ে মৃত্যু পরোয়ানা ট্রাইব্যুনাল থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে জনকণ্ঠকে মৃত্যুপরোয়ানা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, আমরা আজাহারের মৃত্যু পরোয়ানা পেয়েছি এবং তা কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি প্রিজন্সে পাঠিয়ে দিয়েছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে সোমবার সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মৃত্যুপরোয়ানা কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কারাগার ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, আইনমন্ত্রণালয় এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে মৃত্যু পরোয়ানার আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে । ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত সহকারী জহিরুল ইসলাম জাহিদ ও অফিস সহায়ক তাপস চন্দ্র রায় লাল কাপড়ে পেঁচিয়ে দুটি মৃত্যু পরোয়ানাটি বহন করে নিয়ে যান। আইন অনুযায়ী এখন ১৫ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারবেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। রিভিউতে তার আবেদন খারিজ হলে আর কোন আইনী প্রতিকার তার থাকবে না। সেক্ষেত্রে দোষ স্বীকার করে নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করতে পারবেন তিনি। সেই আবেদন গৃহীত না হলে সরকারের নির্বাহী আদেশে কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকর করবেন। এটিএম আজহারুল ইসলাম হলেন সপ্তম ব্যক্তি যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে চূড়ান্তভাবে আপীল বিভাগ থেকে মৃত্যুদণ্ডের রায় পেয়েছেন। এরই মধ্যে আপীল বিভাগে ৯টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে। যার মধ্যে কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপীল বিভাগ। তাছাড়া আপীল বিভাগে ৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সাতটি মামলার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।
×