ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

উবাচ

সুন্দর মিথ্যা স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবেই। বিরোধী রাজনৈতিক দল কখনও সরকারের সাফল্য বা অর্জন স্বীকার করতে চায় না। তাই তারা সব সময় সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে। সরকারের নেতিবাচক কর্মকান্ড জনগণের সামনে তুলে ধরে সমর্থন আদায় এবং আন্দোলন চাঙ্গা করার কৌশল থাকে এই সমালোচনায়। ১০ বছর ধরে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই। গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলটির ভরাডুবি হয়েছে। শত চেষ্টার পরও দলটি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। অব্যাহতভাবে সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছে। তাই বলে সরকারের সব অর্জন অস্বীকার করবে, এমন হতে পারে না। সরকারের কোন অর্জন বিরোধী এই রাজনৈতিক দল দেখতে পায় না। এ কারণেই অব্যাহত সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করেছেন- সুন্দর করে মিথ্যা বলার জন্য যদি কোন পুরস্কার থাকত, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম পুরস্কার পেতেন। গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির অব্যাহত সমালোচনার প্রেক্ষিতে তিনি দলটির মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারত, যদি সবকিছুতেই না বলার প্রবণতা বিএনপি-জামায়াত পরিহার করতে পারত। ফখরুল সাহেবরা সুন্দরভাবে গুছিয়ে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিনিয়ত পরিবেশন করে যাচ্ছেন। পত্রিকায় দেখলাম বিএনপি বলেছে, দেশের মানুষকে নাকি সরকার জিম্মি করে রেখেছে। বরং দেশের মানুষকে বিএনপি-জামায়াত জিম্মি করেছে। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ থাকবে। ক্ষমতায় থাকলে সমালোচনাও হবে, ভুল-ত্রুটিও হতে পারে। আমি অনুরোধ করব, আপনারা মূর্খের মতো সমালোচনা করবেন না। গঠনমূলক সমালোচনা করে, আসুন সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। সময়ের ব্যাপার স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ৯ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ। ’৯০-এর অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ক্ষমতা ছাড়লেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। গত বছর বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির হাল ধরেছেন তার ভাই জিএম কাদের। দলটি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। এরশাদের মৃত্যুর পর তার শূন্যতা পূরণে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই জিএম কাদের। দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও কম করছে না দলটি। এরশাদের মৃত্যুর পর দলটিতে তার শূন্যতা পূরণে ব্যস্ত রয়েছেন জিএম কাদের। সম্প্রতি তিনি বলেন, আগামীদিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণমানুষের আস্থা অর্জন করতে কাজ করছে জাতীয় পার্টি। মানুষের ভালবাসায় রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছানো জাতীয় পার্টির জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের অফিস মিলনায়তনে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চলে যাওয়ার পর দলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল ব্যক্তিকেন্দ্রিক। শীর্ষ নেতার অবর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো ঘাত-প্রতিঘাতে বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চলে যাওয়ার পরে জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সবার প্রচেষ্টায় জাতীয় পার্টি এখন ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করলে অর্থ-বিত্তে মূল্যায়ন আশা করা ঠিক নয়। মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসাই রাজনীতিবিদদের কাম্য হওয়া উচিত। আমি মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই ভালবাসার মূল্য দিতে চাই। আমি ভয়ঙ্কর স্টাফ রিপোর্টার ॥ অন্যকে ভয় দেখিয়ে মানুষ আনন্দ পায়। এ জন্য সে নানা কৌশল অবলম্বন করে। এই ভয় দেখানোর সংস্কৃতি রাজনীতিতেও কম নয়। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর কৌশল ব্যবহারে রাজনীতিবিদরা কম যান না। অন্যকে ভয়ের মধ্যে ফেলে নিজের বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা থাকে এই ভয় দেখানোর মধ্যে। আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদের যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও তার প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রতিদ্বন্দ্বী এসব প্রার্থীকে ভয় দেখাতে তাই শাহীন চাকলাদার মন্তব্য করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের দোসর জামায়াত-বিএনপির জন্য আমি নিজে ভয়ঙ্কর। সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মিসভায় একথা জানান তিনি। শাহীন চাকলাদার জামায়াত-বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা ভাল থাকতে চাইলে বাড়িতে থাকেন। বর্তমানে দেশে স্বস্তি আর শান্তিতে থাকা জনগণকে বিরক্ত করবেন না। মনে রাখবেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করেছেন, সাংগঠনিক কারণে তখন কিছুই করা সম্ভব হয়নি। তবে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার শরীরের একটি লোমেও হাত পড়লে জামায়াত-বিএনপি এদেশে থাকবে না।
×