ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পড়তে পারেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 পড়তে পারেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে গেলে যে বিষয়টি আসে তা হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সভ্যতার শুরু থেকেই বিস্তার লাভ করে আসছে। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ছোঁয়া লাগেনি। সবচেয়ে পুরনো, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে, ব্রিজ, পানি প্রকল্প, পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার কাজ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্থাপক এর কাজও করে থাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমান বিশ্বে শিক্ষাদীক্ষার বিষয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরোকৌশল বিদ্যা গুরুত্ব বহন করছে এবং এর চাহিদাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ কোর্স চালু করেছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ১৯৯৫ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৭ হাজারের অধিক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন অধ্যাপক গণেশচন্দ্র রায়। তিনি জানান, এ কোর্সের জন্য উন্নত গ্রন্থাগার ম্যাটেরিয়ালস ল্যাব, সার্ভেইং ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, ইনভায়রনমেন্ট ল্যাব চালু করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ছাত্রছাত্রীরা যাতে একজন পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে তার জন্য এখানে সব ধরনের শিক্ষাদান দেওয়া হবে। যাতে তারা বর্তমান কর্মক্ষেত্রের প্রতিযোগিতার বাজারে টিকিয়ে থাকতে পারে। চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোঃ ফাহিম ফয়সাল হিমেল বলেন, ঢাকা ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র, শিক্ষক এবং সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীর মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষকরা বন্ধুসুলভ এবং ক্লাসের বাইরে ছাত্রদের যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া পড়ালেখা ও চাকরি ইত্যাদি বিষয়ে সব সময় সিনিয়র সেমিস্টারের ছাত্রদের কাছে সহায়তাও করেন। বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ফি ধরা হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। সান্ধ্যকালীন কোর্সের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি বলেন, ১৯৯৫ সালে ‘জ্ঞানই শক্তি’ সেøাগানকে সামনে রেখে এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সেøাগানের গুরুত্ব তা আজও বহন করে চলছে। যেসব কোর্স এখানে চালু রয়েছে সেগুলো আমরা সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করে আসছি। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ ইউনিভার্সিটির বিশেষত্ব হলো, বিভিন্ন সামাজিক ও মানবকল্যাণকর কাজে অংশগ্রহণ। যেমন সামাজিক ব্যবসা, এ্যান্টি ট্যোবাকো সেলের কার্যক্রম পরিচালিত করছে। পাশাপাশি উন্নত মানসিকতা গড়ে তুলতে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করানো হয়, দেশে এবং দেশের বাইরে। মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য তারা বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করে থাকে। যেমন ২০১৭ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এটিএন বাংলা পার্লামেন্ট ডিবেট প্রতিযোগিতায় ফাইনালে বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়। এখানকার সব শিক্ষার্থীদের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখানে রয়েছে ৩টি সুসজ্জিত সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ইন্টারনেট ও অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন ৩১টি ল্যাবরেটরি সুবিধা। ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাছেই রয়েছে ৭টি হোস্টেল। এ ছাড়া রয়েছে হিউম্যান রাইটস এ্যাডভোকেসি সেল, সোস্যাল বিজনেস একাডেমিক সেল, ডিবেটিং ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, পরিবহন সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০-এর আইন অনুযায়ী, দরিদ্র, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তিকৃত ছাত্র আমিনুল ইসলাম বলে, এখানে ভর্তি হয়ে খুবই ভাল লাগছে। আরও ভাল লাগছে, স্থায়ী ক্যাম্পাস ও মনোরম পরিবেশ। যোগাযোগ: বাড়ি-০৪, সড়ক-০১, ব্লক-এফ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। মোবাইল : ০১৯৩৯৮৫১০৬১। নাজমূল হোসেন
×