ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্নবাজ স্বাগতা

প্রকাশিত: ১২:১০, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

স্বপ্নবাজ স্বাগতা

পুরো নাম জিনাত সানু স্বাগতা। একাধারে অভিনয়, মডেলিং, গান এবং উপস্থাপনায় পারদর্শী। ছোটবেলা থেকেই মিডিয়ায় কাজ করছেন। এবং বাবার দেখানো পথে গান শিখেছেন। ‘মহাকাল’ নামের একটি ব্যান্ড দলও করেছিলেন। তারপর গানে অনিয়মিত। স্বপ্ন ছিল নাম করা গায়িকা ও পরিচালক হবেন। তবে কাকতালীয়ভাবে অভিনয়ে নিয়মিত হয়ে পড়েন। পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়ালেখা করেছেন ফিল্ম মেকিং নিয়ে। তবে সেই স্বপ্নটা আজও অধরা। মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৭ সালে মান্নার বিপরীতে ‘শত্রু শত্রু খেলা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন। তারপর ‘কোটি টাকার ফকির’, ‘অশান্ত মন’, ‘সূচনা রেখার দিকে’ এবং ‘ফিরে এসো বেহুলা’ নামে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমায় অবশ্য পরে তেমন একটা দেখা যায়নি তাকে। অন্যদিকে ধারাবাহিক নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন স্বাগতা। এছাড়া টিভিতে নিয়মিত অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করছেন এ অভিনেত্রী। কিছুদিন আগে নতুন একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। নাম ‘মানুষের বাগান’। ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এটি পরিচালনা করেছেন নুরুল আলম আতিক। ছবিতে তিনি একজন গরিব পরিবারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মানুষের বাগান কি রকম সৌরভ ছড়াবে বলে মনে করেন? জানতে চাইলে আনন্দকণ্ঠকে স্বাগতা বলেন, ‘দারুণ একটি গল্প নিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রেই অভিনয় করেছি। আতিক ভাই আমার বন্ধু। তিনি ভাল একজন নির্মাতা। নাটক নির্মাণ করেও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। সে দর্শকদের জন্য নতুনত্ব কিছু দেয়ার চেষ্টা করেছেন। মানুষের গল্প নিয়ে মানুষের বাগান।’ এর আগে এ পরিচালকের ‘ডুব সাঁতার’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। সেটিও প্রশংসিত হয়েছিল। অন্যদিকে নতুন আরেকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্বাগতা ব্যস্ত আছেন আসন্ন ভালবাসা দিবসের কাজ নিয়ে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে তার নাট্যদল থেকে নতুন একটি নাটক মঞ্চত্ব করবেন। এক সময়ে অভিনয়ের ইচ্ছে না থাকলেও এখন স্বাগতার ভাললাগে অভিনয় করতে। তিনি টিভি নাটকে অভিনয় করলেও টিভির দর্শক নয়, অনলাইনের দর্শক। -বললেন স্বাগতা। জীবনের কোন মজার অভিজ্ঞতা আছে? ‘বিয়ের তিন দিনের দিন আমার স্বামী আমাকে রেখে শূটিংয়ে যায়। ৭২ দিনে ৬৪ জেলা ঘুরে ঘুরে শূটিং করতে হবে। মনে মনে ভাবলাম বিয়ের তিন দিন পার না হতেই একা রেখে এভাবে চলে যাচ্ছে। সারা জীবন তাহলে কি অবস্থা হবে... (হা.হা.হা.) যাবার দশ দিন পর তার আমার কথা মনে পরে এবং বলেন কক্সবাজার শূটিংয়ে যাব তুমি চাইলে আসতে পার। শর্ত বাসে থাকতে হবে। আমিও গেলাম গিয়ে জানতে পারি শূটিংয়ের জন্য যে মডেলদের নিয়েছেন তাদের হাত পায়ের শট নিতে হবে কিন্তু তাদের হাত পা পছন্দ হচ্ছে না। যার কারণে আমার পায়ের শট নেয়ার জন্য আমাকে কক্সবাজার নিয়েছেন। পেটে ভাতে কাজের জন্য নেয়া কাজ শেষে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছে (হা..হা..হা..)।’ স্বাগতার ভবিষ্যত পরিকল্পনা অভিনয় ঘিরে। একজন শিল্পী হিসেবে বেছে থাকতে চান তার ভক্তদের হৃদয়ে। আনন্দকণ্ঠ প্রতিবেদক
×