ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধার লড়াইয়ে কেউই জেতেনি

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

 মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধার লড়াইয়ে কেউই  জেতেনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০০৩ সালের ফেডারেশনের কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের হাসি হেসেছিল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। এই আসরে সর্বশেষ সাক্ষাত ২০১৫ আসরের দ্বিতীয় সেমিতে। সেবারও জিতেছিল ‘বেঙ্গল রেডস্’ খ্যাত মুক্তিযোদ্ধাই, টাইব্রেকারে ৪-৩ (১-১) গোলে। তারপর গত তিন আসরে তাদের কোন দেখা হয়নি ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’ খ্যাত এবং এই আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাধারী (১০ বার) মোহামেডানের সঙ্গে। তবে ফেডারেশন কাপের চলতি আসরে আবারও দেখা হলো। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ডি’ গ্রুপের খেলায় (রাতে অনুষ্ঠিত) এবার অবশ্য মোহামেডানকে হারাতে পারেনি তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মুক্তিযোদ্ধা। তবে হারেওনি। বরং কোনমতে ১-১ গোলে ড্র করে হার এড়িয়েছে। দুই দলই ‘ক্যাসিনো’ ঝড়ে বিপর্যস্ত। নতুন মৌসুমে উভয় দলই দল গড়তে হিমশিম খেয়েছে। ফুটবলপ্রেমীদের আলাদা কৌতূহল ছিল দুই দলের ম্যাচটি নিয়ে। মোহামেডানের জন্য ম্যাচটি ছিল হতাশার, কেননা এগিয়েও গিয়ে জিততে পারেনি তারা। ষাট দশকের জার্সি পরে যেন সেই সময়টাকেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন মাজহারুল ইসলাম হিমেলরা। ম্যাচের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাকে চাপে ফেলতে চেষ্টা করে সাদা কালোরা। মাত্র তিন মিনিটের মাথায় আমির হাকিম বাপ্পীর হেডে চমৎকার এক গোলও পেয়ে যায় তারা (১-০)। নতুন মৌসুমে প্রথম গোল পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে সাদা-কালো শিবির। যদিও তাদের সেই আনন্দে ভাটা পড়ে ৩৪ মিনিটে। এর জন্য দায়ী গোলরক্ষক হিমেলই। বক্সের সামনে চার ডিফেন্ডার থাকার পরও ঠিক ৩০ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার এক গড়ানো শটে গোল করেন মুক্তিযোদ্ধার অধিনায়ক শাহ আলমগীর অনিক (১-১)। এক অধিনায়ক যেন বোকা বানালেন আরেক অধিনায়ককে। সত্যিই কপাল মন্দ মোহামেডানের। কেননা বেশকটি গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। শেষদিকে মুক্তিযোদ্ধার বদলি ফরোয়ার্ড সুমন আলীর বক্সের ভেতরের শটটিও এ্যাক্রোবেটিক কায়দায় শট করে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক হিমেল। ফলে ড্র নিইে মাঠ ছাড়তে হয় মোহামেডানকে।
×