জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারত যে অভিযোগ এনেছে, তা সঠিক নয়। এদেশে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন না বলে জানান তিনি। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অভিযোগ এনে ভারত সংসদে নাগরিকত্ব বিল উত্থপান করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তথ্য সঠিক নয়। যারা এই তথ্য তাদের দিয়েছে, তারাও সঠিক তথ্য দেননি। আমি আশা করব বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নেতৃত্ব এটা নিয়ে কথা বলবে। ড. মোমেন বলেন, ভারত ঐতিহাসিকভাবেই সহনশীল দেশ। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখান থেকে তারা পিছিয়ে গেলে আরও দুর্বল হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। আমরা এখানে সব ধর্মের লোক মিলেমিশে বসবাস করছি। আমরা স্লোগান দিচ্ছি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সোনালি অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়ছে। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
সুচির অধঃপতন দেখে দুঃখ পেয়েছি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির অধঃপতনে দুঃখ পেয়েছি। আশা করছি, তার দিব্যজ্ঞান হবে। তিনি তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, নোবেল বিজয়ী আউং সান সুচির মুক্তির দাবিতে আমি নিজেও বিক্ষোভ করেছি। তিনি গণতন্ত্রের আইকন ছিলেন। তবে, এখন তার অবস্থান দুঃখজনক। আমি নিজেও সুচির অধঃপতনে দুঃখ পেয়েছি। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) সুচি জবাবদিহি করতে চলেছেন, এ প্রসঙ্গে অনুভূতি জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আশা করি, সুচি তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন। তার দিব্যজ্ঞান হবে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বিচারে আইসিজেতে (আন্তর্জাতিক বিচার আদালত) গাম্বিয়া লড়াই করছে। তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি আমরা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: