ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চসিক মেয়রকে চেন হাউ

বাংলাদেশে প্রধান বিনিয়োগকারী হবে চীন

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশে প্রধান  বিনিয়োগকারী  হবে চীন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। আগামী এক থেকে দেড় দশকে চীন বাংলাদেশের জ্বালানি, বিদ্যুত ও যোগাযোগ খাতে হাজার হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ করবে। চীন মনে করে সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন চীন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী দেশে পরিণত হবে। শুক্রবার দুপুরে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক চেন হাউ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছিরের সঙ্গে বৈঠকে উপযুক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় বাংলাদেশ উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্ক কিভাবে আরও জোরদার করা যায়, এমন এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন জ্বালানি, বিদ্যুত, যোগাযোগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া সম্ভব। চসিক মেয়রের সঙ্গে চায়না ইউনান প্রভিনসিয়াল ডেলিগেশন কমিটির প্রধান, চায়না কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক চেন হাউয়ের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সৌজন্য বৈঠক চট্টগ্রাম ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি. জিমিং, ইউনান প্রভিন্স কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি ইয়াং হংবো, ডাইরেক্টর জেনারেল ইউনাল প্রভিন্স সরকারের ফরিন এ্যাফেয়ার্স অফিসার পো হং, ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল ইউ সুকন, চায়না ডেভেলাপমেন্ট ব্যাংক ইউনান ব্রাঞ্চের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার হং জিনগুয়া এবং চায়না কমিউনিকেশন কন্সক্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো জিংবো। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, সিটি মেয়রের একন্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। চসিক মেয়র বলেন, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই তা চমৎকার ছিল, ক্রমে তা আরও নিবিড় হয়েছে এবং এই সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
×