ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের ফের শুনানি আজ

প্রকাশিত: ১২:২০, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের ফের শুনানি আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঋণখেলাপীদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সার্কুলার জারি করেছে তার প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আবার দুপুর দুটায় শুনানি শুরু হবে। ৩৬তম বিসিএসে দ্বিতীয় শ্রেণীর (নন-ক্যাডার) কর্মকর্তা হিসেবে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশ না করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়ে ৫ নবেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ আসামিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আপীল বিভাগ। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোঃ রনজু মিয়াসহ পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ মঙ্গলবার। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি আজ মঙ্গলবার। প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুতের অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। সোমবার আপীল বিভাগ, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও বিশেষ আদালত এ আদেশগুলো প্রদান করেছে। ঋণখেলাপীদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা জারি করেছে তার প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আবার দুপুর দুটায় শুনানি শুরু হবে। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় রাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও বাংলাদেশ ব্যাংকার এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শাহ মঞ্জুরুল হক বক্তব্য রাখেন। এর আগে রবিবার রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন। এর আগে ২৯ আগস্ট আদালত আদেশ প্রদান করে, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে খেলাপী ঋণ পরিশোধের যারা সুযোগ গ্রহণ করবে তারা অন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে না। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। ওই দিন রিটকারী আইনজীবীর আবেদন নিষ্পত্তি করে আদালত এ আদেশ প্রদান করে। ২৮ আগস্ট রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পুনরায় একটি আবেদন করে যাতে আর কেউ নতুন করে লোন নিতে না পারে। এর আগে ৮ জুলাই ঋণখেলাপীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে স্থিতাবস্থা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ দুই মাসের জন্য স্থগিত করে আপীল বিভাগ। ওই আদেশের ফলে ঋণখেলাপীদের বিশেষ সুবিধা দিতে আপাতত কোন বাধা থাকল না বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের সুযোগ-সুবিধা যারা নেবেন, তারা আর কোন ব্যাংক থেকে লোন পাবেন না বলে আদেশে বলা হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চকে দায়িত্ব দেয় আপীল বিভাগ। ওই আদেশের ফলে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরে খেলাপী ঋণ পরিশোধের যে সুযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক ওই সার্কুলারে দিয়েছিল, তা আপাতত কার্যকর থাকছে। আদেশের পর এ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, এটা পলিসি মেটার, শিল্প খাত এর সঙ্গে জড়িত। জাতীয় স্বার্থে সরকার এই সুবিধা দেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। এরপর রিটকারীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ মে ওই সার্কুলারের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ২৪ জুন এ স্থিতাবস্থার মেয়াদ আরও দুইমাস বাড়ানো হয়। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপীল বিভাগে আবেদন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। অর্থ বিভাগের ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ জুলাই আপীল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন। মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপীর তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে রুল জারি করে। ২৪ জুন হাইকোর্টে ঋণখেলাপীদের তালিকা দাখিল করা হয়। ২৪ জুন আদালতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে বর্তমানে খেলাপী ও অকার্যকর ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকা আদালতের আদেশে আটকে আছে। আর ৩০ হাজার কোটি টাকা অবলোপনকৃত ঋণ। ওইদিন আদালতে এমন তথ্য উপস্থাপন করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে মনজিল মোরসেদ বলেন, ১০ হাজার ৪৪১ ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে এই ঋণ নেয়া হয়েছে।
×