ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সফল করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৩:২৪, ৮ অক্টোবর ২০১৯

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সফল করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্নীতি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম বড় বাধা। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ, মাদক, চাঁদাবাজি, জুয়া ও দুর্নীতি দূর করতে চলমান অভিযানকে সফল করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমী উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘নিজে অন্যায় করব না, অন্যকেও করতে দেব না’- এই নীতি সামনে রেখে সমাজ থেকে অন্যায় ও দুর্নীতি দূর করার শপথ নিতে হবে সবাইকে। “তা হলেই দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে আর প্রতিষ্ঠিত হবে সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা।” বিজয়া দশমীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে অভিনন্দন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “অসুর ও অশুভ শক্তিকে পরাস্তের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠাই দুর্গাপূজার মর্মবাণী। সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার ও অশুভ তৎপরতাকে রুখে দিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে একটি সাম্য, সৌহার্দ্য ও শান্তিময় সমাজ গঠনে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।” রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্গোৎসব বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছরের মত এ বছরও সারাদেশে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। এটি বাংলার আবহমান ঐতিহ্যের অংশ। দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। “দুর্গোৎসব উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন। সবার মধ্যে গড়ে ওঠে সৌহার্দের সেতুবন্ধন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুর্গোৎসব হয়ে উঠে সার্বজনীন।” সবাইকে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, শান্তি ও মানবতাই ধর্মের শাশ্বত বাণী। তাই ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলার পাশাপাশি মানবতার কল্যাণেও এগিয়ে আসতে হবে। “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়।” শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। স্ত্রী রাশিদা খানমও এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মাসরাও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গভবনের এ আয়োজনে।
×