ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নার্স ও আয়া দিয়ে বের করা হলো মৃত শিশু ॥ মায়েরও জীবন শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ১ অক্টোবর ২০১৯

নার্স ও আয়া দিয়ে বের করা হলো মৃত শিশু ॥ মায়েরও জীবন শঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ৩০ সেপ্টেম্বর ॥ রবিবার মধ্যরাতে টেকেরহাট বন্দরে অবস্থিত সিটি হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে এক প্রসূতির যৌনাঙ্গ কেটে টেনে হিঁচড়ে একটি মৃত শিশু বের করা হয়েছে। ঘটনার সময় ওই ক্লিনিকে কোন চিকিৎসক না থাকায় নার্স-আয়ারা ওই প্রসূতির ডেলিভারির কাজ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রসূতি হাফসা বেগমকে (২২) ফরিদপুর প্রভাতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । স্থানীয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বড়ৈতলা গ্রামের সাদ্দাম শেখের স্ত্রী হাফসা বেগমের রবিবার রাত ১২টার দিকে প্রসব ব্যথা ওঠে। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত হাফসা বেগমকে নিকটস্থ টেকেরহাট সিটি হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। তখন হাসপাতালে কোন ডাক্তার না থাকায় কথিত নার্স ইতি আক্তার, হেলেনা আক্তার ও চায়না আক্তারকে আয়া দিয়ে সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় নার্স-আয়ারা বাচ্চা প্রসব করানোর জন্য টানা হেঁচড়া শুরু করে। বাচ্চা প্রসব না হওয়ায় একপর্যায়ে যৌনাঙ্গ কেটে বাচ্চা বের করার সময় বাচ্চার মাথা কেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। যৌনাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে তাকে অন্যত্র চিকিৎসার কথা বলে হাফসা বেগমকে সিটি হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এ অবস্থায় নার্স ও আয়ারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাফসা বেগমকে তার পরিবার ফরিদপুর নিয়ে একটি বেসরকারী ক্লিনিক প্রভাতী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন হাফসা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হাফসার মামা মাসুদ শেখ বলেন, ‘সিটি হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় নার্স ও আয়া দিয়ে টানা হেঁচড়া করে আমার ভাগ্নির বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে। ভাগ্নির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। স্থানীয়রা জানান, এর আগেও এই হাসপাতালে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এবং র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি। এদের পেছনে রয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। আজকের ঘটনাটিও ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে সেই একই মহল। সিটি হাসপাতালের মালিক পক্ষের একজন রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে আনার আগেই বাচ্চাকে টানা হেঁচড়া করা হয়েছে। পরে অবস্থা খারাপ দেখে আমাদের এখানে ভর্তি করে। আমরা বাচ্চা প্রসব করানোর পরে দেখি বাচ্চা মৃত।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রদীপ চন্দ্র ম-ল বলেন, ‘ঘটনা আমি শুনেছি।
×