ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি ফিরোজ ১০ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি ফিরোজ ১০ দিনের রিমান্ডে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জুয়ার আখড়া বন্ধে র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি মোহাম্মদ সফিকুল আলম ফিরোজকে দুই মামলায় হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। র্যাবের করা দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার বিকালে ফিরোজকে ঢাকার আদালতে পাঠায় ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। অস্ত্র আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরউদ্দিন এবং মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশিকুর রহমান আসামি ফিরোজকে ১০ দিন করে ২০ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড বাতিল করে ফিরোজের জামিন চেয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। তবে তা নাকচ করে দেন বিচারক। শুক্রবার কলাবাগান ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিল র্যাব। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে পরে র্যাব বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন র্যাব-২ এর পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান। এতে শুধু ফিরোজকে আসামি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তার পর ঢাকায় জুয়ার আখড়া বন্ধে অভিযানে নেমেছে র্যাব। উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়ানো জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়। শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।
×