ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাতের মুঠোয় কৃষি সেবায় বাড়ছে উৎপাদন ;###;বেড়েছে ফোনের চাপ, দায়িত্বও বেড়েছে সেন্টারের;###;কল সেন্টারে মিলছে সমাধান ;###;আস্থার প্রতীক ১৬১২৩

হ্যালো, আমি কৃষক বলছি

প্রকাশিত: ১০:৪২, ৩০ আগস্ট ২০১৯

হ্যালো, আমি কৃষক বলছি

ওয়াজেদ হীরা ॥ ‘হ্যালো, আমি কৃষক সোরহাব বলছি। আমারে একটু উপকার করেন আফা। আমার সব শেষ হইয়া গেল।’ রংপুর অঞ্চলের এক কৃষক এভাবে কথাগুলো বলছিল কৃষি কলসেন্টারে ফোন করে। মনে অজানা আতঙ্ক নিয়ে সমাধানের আশায় ফোন করেন তিনি। সোনার ফসলের দুর্গে পোকার আক্রমণে স্বপ্ন মলিন হতে বসেছে কৃষক সোরহাবের। ফোন রিসিভ করে সমস্যা শোনার পর যথাযথ সমাধানও দিলেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা। কিছুটা স্বস্তি নিয়ে ফোন রাখলেন তিনি। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য কৃষক এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট মানুষের ফোন আসে এই কৃষি কলসেন্টারে। মিলছে নানা ধরনের সমস্যার সমাধানও। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান দিচ্ছেন কৃষিবিদরা। আর একটি নম্বরে ফোন করে সমাধান পাওয়ায় দিন দিন কলসেন্টারের প্রতি আগ্রহ বেড়েই চলেছে। হাতের মুঠোর কৃষিসেবায় বাড়ছে উৎপাদনও। কমেছে কৃষকদের তথ্যগত হয়রানি। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে কৃষির জন্য নানা তথ্যসেবা রয়েছে। কৃষকের জানালা, ই-বুক, কৃষি ডাক্তারসহ কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন মোবাইল এ্যাপ ও ওয়েবসাইট থাকলেও কৃষকরা অনেক সময় এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন না। তবে কলসেন্টারটিতে যে কেউ মোবাইলে ফোন দিয়ে কথা বলতে পারেন বলে এটি সবার কাছেই সহজ একটি বিষয়। দেশের সব স্থানেই এখন কৃষি তথ্য ও পরামর্শ সেবায় গতিশীলতা এসেছে। জানা গেছে, এই কলসেন্টার এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা যে কোন ধরনের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং এর ভোক্তাদের মধ্যে মনোযোগ সাধিত হয়। দেশের কৃষকদের মধ্যে কৃষিভিত্তিক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, সেবা এবং তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ২০১২ সালের জুন মাসে ‘কৃষি কলসেন্টার’ এর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি তথ্য সার্ভিস রাজধানীর খামারবাড়ি থেকে এটি পরিচালনা করছে। ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে ৫ ডিজিটের একটি শর্ট কোডের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেন্টারটির কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু হয়েছে। কৃষি কলসেন্টারের শর্ট কোড নম্বর ১৬১২৩। যেখানে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে কৃষকদের কাছ থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচশর্ত কল আসে। ভবিষ্যতে এটি আরও আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের চিন্তাও রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এআইএসের প্রেস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন ও আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এআইএসের বিভিন্ন উইং আরও আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের কথাও বলেন কৃষিমন্ত্রী। এআইএসের নেয়া উদ্যোগগুলো ভবিষ্যতে যেন আরও ভাল সেবা দিতে পারে সেটির বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে বলেও জানান। মন্ত্রী সে সময় এআইএসের আধুনিকায়ন কার্যক্রম দেখেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি উদ্বোধন করেন এবং সব বঙ্গবন্ধু কৃষি স্বর্ণপদকপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেন। সেই সঙ্গে এআইএস থেকে আরও বেশি তথ্যসেবা পাওয়ার জন্য এআইএসটিউব ও যোগাযোগকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এ সময় কলসেন্টারের কার্যক্রমও দেখেন মন্ত্রী। এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে কলসেন্টারটি। ময়মনসিংহে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন রফিকুল। তিনি গরু পালন করেন। জনকণ্ঠকে বলেন, এটি আমাদের কাছে একটি আস্থার মনে হয়। আমি সময় করে ফোন দেই। অনেক সময় লাইনে অপেক্ষা করতে বলে। তবে সমাধানও পেয়ে যাই। গত দেড় বছরে কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে যেতেই হয়নি বলেন তিনি। একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা হয়েছে জনকণ্ঠের এই প্রতিবেদকের। বিভিন্ন সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় বলে অনেকের মধ্যে বিরক্তিভাবও রয়েছে তবে বিভিন্ন পরামর্শে উপকৃত হওয়ার কথাও বলেন কৃষকরা। এদিকে কলসেন্টারের দায়িত্বরত একাধিক অপারেটর জনকণ্ঠকে বলেন, আগের চেয়ে কলসেন্টারে প্রতিদিনই কল আসার সংখ্যা বেড়েছে। চাপ বাড়ার কারণে দায়িত্বও বেশি। লোক কিছুটা বাড়ানো হলেও দুই শিফটের জন্য এটি পর্যাপ্ত নয়। কলসেন্টারের এক কৃষিবিদ নাম প্রকাশ না করে বলেন, কোন ব্যক্তি ফোন করেন একটা আশা নিয়ে। তাকে আমরা একটা পরামর্শ দিব বা যে পরামর্শে তার ফসলের উৎপাদন বাড়বে বা রোগ ধরলে তা মুক্ত হবে। অনেক সময়ই অতিরিক্ত ফোনের চাপে অনেক লাইন কেটে যায়। অনেককে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায়ও থাকতে হয়। কাউকে পরামর্শ দিলে আমাদের ভাল লাগে আবার কাউকে সেবা দিতে না পারলে খারাপও লাগে। আমরা সরকারের যে পলিসি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকা সে লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। তবে এটি চরম সত্য আমাদের লোকবল খুবই কম। আগের চেয়ে কিছুটা বাড়ানো হলেও এটি পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন কলসেন্টারের ওই প্রতিনিধি। কৃষি কলসেন্টারে কেউ ফোন করলে অটো রেকর্ডের মাধ্যমে স্বাগতম জানিয়ে কোন বিষয়ে তথ্য দরকার সেটি জানতে চাওয়া হয়। কৃষি হলে ১, মৎস্য হলে ২ এবং প্রাণী হলে ৩ চাপতে বলা হয়। সব লাইন একত্রে ব্যস্ত থাকলে কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করতে বলা হয় বা একটু পর আবার চেষ্টার কথাও বলা হয়। এই অপেক্ষার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কমিয়ে আনার কথা বলেছেন কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্টরা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা এই কলসেন্টারের মাধ্যমে কৃষির বাইরে মৎস্য, প্রাণী বিষয়ে সেবা দিচ্ছি। কৃষকরা অন্যান্য এ্যাপ হয়তো একটু কম ব্যবহার করেন আর ফোন বেশি করে থাকেন। আমরাও চাই কৃষকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা থাকুক। বর্তমানে যে লোকবল দিয়ে কাজ চলছে এটি আপাতত চলবে। এআইএসের নতুন ভবন হলে এটির কার্যক্রম সম্প্রসারণ হবে, লোকবলও বাড়বে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মোঃ নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের দিন দিন এই কলসেন্টার কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ে বেশ ভাল সাড়া জাগিয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের চাহিদা হিসেবে আমরা লোকবল এবং জায়গার অভাবে সেবাটা আরও ভালভাবে দিতে পারছি না। আমাদের লোকবল এখন কম। তাই অনেক সময় একজন কৃষককে ফোন দিয়ে অপেক্ষাও করতে হয়। এছাড়াও বিশ^ব্যাংক, প্রাণী সেক্টর একত্রে কাজের ইচ্ছা পোষণ করেছে তবে জায়গা স্বল্পতায় এখনও সেটি করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা হয়। আমরা অল্প লোকবল দিয়েও কৃষকদের সেবাটা দিয়ে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এটি আরও ভাল সেবা দেবে বলেও আশা করেন নুরুল ইসলাম। জানা গেছে, ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রার পর থেকে বছর বছর জ্যামিতিক হারে বেড়েছে ফোন কল আসা। সেই সঙ্গে নানা প্রান্তের নানা মানুষ বিভিন্ন প্রশ্ন করে সমাধানের মাধ্যম হিসেবে এটি ব্যবহার করছেন। বর্তমানে কৃষকদের কাছে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অধিকাংশ মানুষের হাতে নিয়ে যায় মুঠোফোন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮৯ হাজার। ২০১৮ সালেই যুক্ত হয়েছে নতুন ১ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক। দেশের উচ্চবিত্তদের মতো এখন প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষেতে খামারে কাজ করা কৃষকের হাতেও মোবাইল। যার কারণে যে কোন ফসলের তাৎক্ষণিক সমাধান বা কোন করণীয় বিষয়ে ধারণা পেতে কলসেন্টারে ফোন দিচ্ছেন। অনেক সময় জেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে না গিয়ে কৃষকরা নিজের জমি থেকে ফসলের সুবিধা অসুবিধা জানতে পারেন মুঠোফোনে। এ কারণেই কলসেন্টারটি কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠে দ্রুত। বিভিন্ন ঋতুভিত্তিক সবজি ফল বা অন্যান্য ফসল বিষয়ে পরামর্শ মিলছে। এই কলসেন্টারের কার্যক্রমে সহায়তা করছেন আন্তর্জাতিক এনজিও প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন, বাংলাদেশ। কলসেন্টারের মধ্যে ৫ হাজার প্রশ্নোত্তর সংবলিত কম্পিউটারভিত্তিক ডাটাবেজ রয়েছে বলেও জানা যায়। কলের পরিসংখ্যানও বলে দিচ্ছে দিন দিন এই কলসেন্টারের জনপ্রিয়তার কথা। জুন ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার কল ছিল। এর মধ্যে ৮৬ হাজার ৫০০ ফোন রিসিভ হয়, ৯৮ হাজার ৫০০ পরিত্যক্ত হয়। ৬৫ হাজার ৫২০টি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সময়ে মোট পরামর্শের ৭০ শতাংশ ৪৫ হাজার ৮৬৪টি কলারকে কৃষি পরামর্শ দেয়া হয়। ১৮ শতাংশ প্রাণিসম্পদ এবং ১২ শতাংশ মৎস্য বিষয়ে পরামর্শ নেন। এছাড়াও ২০১৭-এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত কৃষি তথ্য সার্ভিসের এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে আগত কলের ৬৭ শতাংশ ছিল কৃষি, ২৩ শতাংশ প্রাণী এবং ১০ শতাংশ মানুষ জানতে চেয়েছেন মৎস্য বিষয়ে। পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, সারাদেশের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে বেশি কল আসে। এর পরে রয়েছে দিনাজপুর জেলা। এরপরের জেলাগুলো হলো, রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, রাজশাহী, নওগাঁ, যশোর, ময়মনসিংহ, বগুড়াসহ অন্যান্য জেলা। ২০১৭-১৮ ওই সময়ে প্রশ্নকর্তাদের বেশিরভাগই জানতে চেয়েছেন রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসল বিষয়ে এবং ফসলের সমাধান। রবি মৌসুমের বিষয়ে জানতে চাওয়ার সংখ্যা ৪৭ শতাংশ। এছাড়াও খরিপ-১ ৩৫ শতাংশ এবং খরিপ-২ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ১৮ শতাংশ মানুষ। এছাড়াও আগত কলের শতকরা ৯৬ জনই পুরুষ এবং ৪ শতাংশ নারী। সুবিধাভোগী কৃষকরা বলছেন, ১৬১২৩ নম্বরটি তাদের জীবন মানকে বদলে দিয়েছে। আগে কৃষি সমস্যায় নানাজনের নানা কথা অনুযায়ী ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ করায় উপকারের চেয়ে অপকার হতো বেশি। কিন্তু এখন ফসলের ক্ষেতে বসেই ওই নম্বরে কল দিয়ে তাৎক্ষণিক সেবা পাচ্ছেন তারা। তাতে আগের চেয়ে উৎপাদন অনেক বেড়েছে। এছাড়াও কমেছে ব্যয়, সময়ও রক্ষা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত এটি ফ্রি ছিল। তবে বর্তমানে যে কোন অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকে প্রতি মিনিটে ২৫ পয়সা হারে (ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ব্যতীত) কল করে কৃষকরা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ে যে কোন সমস্যার তাৎক্ষণিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ পাচ্ছেন। শনিবার সরকারী ছুটি থাকলেও শনিবারও এই সেন্টারের সেবা পাওয়া যায়। তবে শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারী ছুটির দিন এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কৃষি কলসেন্টারের ১১ জন অপারেটর কৃষি গ্র্যাজুয়েট দুই শিফটে সেবা দিচ্ছেন। এছাড়াও তাদের সহায়তার জন্য যুক্ত রয়েছেন একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল, যাদের সঙ্গে প্রয়োজনে কলসেন্টার গ্রাহককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়। কৃষি তথ্য সার্ভিসের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, কলসেন্টারটি স্থাপনে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির দেয়া গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে। কলসেন্টারে দুটি স্ট্যান্ডবাই সার্ভার, ফোনকল পরিচালনার জন্য আইভিআর এবং কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ্যান্ড ক্ল্যায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ ১টি অত্যাধুনিক সফটওয়ার রয়েছে। বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকলেও অন্তত ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালাতে বিদ্যুতের ব্যাকআপ রয়েছে। কলসার্ভারটি একসঙ্গে ৩০টি কল রিসিভ করে সেবা দিতে পারে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারতে কিষান কলসেন্টার গ্রাহক কলসেবা দিচ্ছে। এতে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং কেনিয়াও সাফল্যজনকভাবে এগিয়ে চলছে কৃষি কলসেন্টারের কার্যক্রম। পাশর্^বর্তী দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং কৃষকরা উপকার পাচ্ছেন বলেও কৃষি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
×