ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১৭ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ

প্রকাশিত: ১০:২৯, ৯ জুলাই ২০১৯

 ১৭ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১৭ জুলাই প্রকাশ হবে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। ওদিন সকালে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করবেন। এর পর দুুপুরে সংবাদ সম্মেলনে করে সারাদেশে আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি। সোমবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক ১৭ জুলাই ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২০, ২১ ও ২২ জুলাই এ তিন দিনের মধ্যে যে কোন একদিন ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। তবে তার আগেই ফল প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ জুলাই সময় দিয়েছেন। ঘোষণা অনুসারে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। রীতি অনুযায়ী ফল প্রকাশের দিন সকালে প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এর পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। এর পরই একই সঙ্গে সারাদেশের ফল প্রকাশ হয়। গত ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭ জন। উল্লেখ্য, গত বছর পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন। আগের ১০ বছরের মধ্যে গত বছরই পাসের হার ছিল সবচেয়ে কম। আমরণ অনশনে এসে অসুস্থ ৩৫ শিক্ষক ॥ সরকারী থেকে বাদপড়া চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচী পালন করেছেন শিক্ষকরা। গত ৩ জুলাই আমরণ অনশন শুরু করেছেন তারা। আমরণ অনশনে সোমবার পর্যন্ত ৩৫ শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মামুনর রশিদ খোকন। তবু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। গত ১৬ জুন থেকে বাদপড়া চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের দাবিতে ‘বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র ব্যানারে অবস্থান করছেন তারা। ২৩ দিনের আন্দোলনে মোট ১৮১ শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অনশনরত শিক্ষকরা। গত ১৮ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন করে আর প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের কোন প্রস্তাব আপাতত বিবেচনা করার সুযোগ নেই। বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মামুনর রশিদ খোকন জানান, চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের দাবিতে গত বুধবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা। ২৩ দিন ধরে অবস্থান করছি। অসুস্থ শিক্ষকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, চার হাজার ১৫৯ প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচী চলবে।
×