অনলাইন রিপোর্টার ॥ ব্রণ চিকিৎসার নামে তরুণীর মুখে চুমু ও শরীরে হাত দেওয়ায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চাকরিচ্যুত চিকিৎসক মোহাম্মদ শওকত হায়দারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সানোয়ার হোসেন সমাজদার ও মেহেদী হাসান ওই তরুণীর পক্ষে এ নোটিশ পাঠান।
তিন দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে না পারলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ত্বকে ব্রণের সমস্যা জন্য গত জানুয়ারি মাস থেকে তার বাবার বয়সী ওই চিকিৎসকের কাছে যান। গত ১৫ জুন তরুণী তাকে ফোন করে তার ত্বকের সমস্যা বেড়েছে বলে জানালে ওই চিকিৎসক তাকে যেতে বলেন। তরুণী তার কাছে স্থায়ী সমাধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইনজেকশন দিতে হবে। তবে তা কোমরে দিতে হবে। তরুণী ইতস্ততা করলে ওই ডাক্তার তাকে কাপড়ের ওপর দিয়ে ইনজেকশন দেয়ার কথা বলেন। তরুণী রাজি হয়ে পেসেন্ট টেবিলে শুলে ওই চিকিৎসার তার বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। আর ইনজেকশন দেয়ার পর চিকিৎসক তুলা দিয়ে চেপে না ধরে তার জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে দেন। এ অবস্থায় ওই তরুণী তার ফিস দিয়ে চেম্বার থেকে বের হয়ে আসতে চান। ওই সময় চিকিৎসক আরেকবার তার গালের সংক্রমন দেখতে চান। গাল দেখার ছলে চিকিৎসক ওই তরুণীকে চুম্বন করেন এবং যৌন হয়রানী করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: