ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেটে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেছে ॥ ডিএসই

প্রকাশিত: ০৯:১২, ১৪ জুন ২০১৯

 বাজেটে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেছে ॥ ডিএসই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৯-২০ অর্থবছরের নতুন বাজেটে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কারমূলক দিক নির্দেশনা ও একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডিএসই কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য যে সমস্ত প্রস্তাব রাখা হয়েছে, তাতে বাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বেসরকারী খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যা দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি, শিল্পোন্নয়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকারে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রথমবারের মতো জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করায় তাকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বোনাস লভ্যাংশের পরিবর্তে নগদ লভ্যাংশ প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য কোন কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করলে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে উক্ত বোনাস লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধানের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া কোন কোম্পানির কোন আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদান করতে হবে। আর পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণ, নিবাসী ও অনিবাসী সব কোম্পানির ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর একাধিকবার করারোপ রোধ করার বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব, শেয়ারবাজারে কোন রুগ্ন কোম্পানিকে যদি কোন আর্থিক দিক থেকে সবল কোম্পানি আত্তীকরণ করতে চায় সেটা বিবেচনা করার প্রস্তাব।
×