ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি মসজিদে জানাজা, বাবার পাশে দাফন

মমতাজ উদদীন আহমদকে শেষ শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ৪ জুন ২০১৯

 মমতাজ উদদীন  আহমদকে শেষ শ্রদ্ধা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাটক রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয় দিয়ে মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। শিক্ষকতায়ও দেখিয়েছেন সামান পারদর্শিতা। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মমতাজ উদদীন আহমদ ৮৪ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন রবিবার বিকেল তিনটা ৪৮ মিনিটে। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী ব্যক্তির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বজরারটেক গ্রামে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় সোমবার রাতে। খবরটি ভোলা হাট থেকে জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেন তার ছেলে ডাঃ তিতাস মাহমুদ। তিনি বলেন, এখানে শাবষা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বাবার তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। এর আগে সকাল দশটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হয়। প্রিয় মানুষটির মুখ শেষবারের মতো দেখতে এবং শ্রদ্ধা জানাতে আগেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন অনেকে। আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ। শ্রদ্ধা জানাতে ও জানাজায় এসেছিলেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর আতিউর রহমান, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, ম হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ, প্রাবন্ধিক গবেষক মফিদুল হক, নাট্যকার অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, উদীচীর সহসভাপতি শংকর সাঁওজাল, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, রহমত আলী, অভিনেতা কে এস ফিরোজ, খায়রুল আলম সবুজ, সালাউদ্দিন লাভলু, বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। জানাজা শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মমতাজ উদদীন আহমদ আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও ভাষাসৈনিক। তিনি একজন বিরল প্রতিভা সম্পন্ন মানুষ। তার সৃষ্টির সব কিছুতে ছিল একটা ব্যতিক্রমী ধারা। আমরা লক্ষ্য করেছি ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ন¤্র, বিনয়ী ও সদালাপী। তিনি বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের একজন পথিকৃৎ। তিনি মঞ্চ ও টিভি নাটকে যে পথ দেখিয়েছেন, নাটক রচনা এবং অভিনয়ে তা অনুসরণ ও অনুকরণযোগ্য। এই ধারাটাকে অব্যাহত রেখে আমরা পথ চলছি। আমাদের ক্ষতি হয়ে গেল তার এ চলে যাওয়ায়। এ ক্ষতি সহজে পূরণ হবে না। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একজন অকুতোভয় ছিলেন। তিনি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও একজন খুবই প্রিয় মানুষ ছিলেন। জানাজা শেষে পরিবারের পক্ষে উপস্থিত সবার উদ্দেশে মমতাজ উদদীন আহমদের ছেলে তিতাস মাহমুদ বলেন, যে সম্মান, গৌরব, অহংকার বাবাকে আপনারা দিয়েছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আপনাদের দোয়ায় আমার বাবা শ্রেষ্ঠতম স্থানে যাবেন। আমার বাবা সফল, বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য জীবন পেয়েছেন, যা দিয়েছেন আপনারা। এসময় তিতাস মাহমুদ জানান, বাবার নামে একটি পুরস্কারের প্রবর্তন করবেন তারা। প্রতিবছর মমতাজ উদদীন আহমদের জন্মদিনে একজন নাট্যকর্মীকে এ পুরস্কার দেয়া হবে। আগামী জন্মদিনে (১৮ জানুয়ারি ২০২০) প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার দেয়া হবে। শ্রদ্ধা জানাতে এসে সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, মমতাজ সাহেব সম্পর্কে যেটা বলতে পারি যে তিনি ছাত্র মুগ্ধকারী শিক্ষক, শ্রোতা মম্মোহনকারী বক্তা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নাটক ছিল তার রক্তের মধ্যে। তিনি ছাত্রজীবনেতো নাটক করেছেনই, তারপরে যাটের দশকে যখন চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা করতেন তখন ছাত্রদের নিয়ে নাটকে মেতে ছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তার আগে অসহযোগ আন্দোলনে চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানে দুটি নাটক রচনা করে তিনি অভিনয় করেছিলেন, সংস্কৃতি আন্দোলনে সেটি একটা মাইলফলক হয়ে আছে। পরবর্তীকালে সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। একদিকে তিনি নাটক লিখেছেন প্রচুর, মঞ্চ, টেলিভিশন ও রেডিওর জন্যে, অন্যদিকে অভিনয়ও করেছেন। তার চমৎকার অভিনয়শৈলী ছিল। যেটা টেলিভিশনের অনেক নাটকের মধ্যে আমরা দেখতে পাই। তিনি গবেষণা করেছেন, লিখে গেছেন অনেক কিছু। আমাদের উচিত হবে তার রচনাগুলো সংগ্রহ করা এবং তার কিছু নির্বাচিত নাটক আর্কাইভে রাখা। তার আত্মা শান্তি পাক এটাই কামনা করি। অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ বলেন, আমার মনে হয় এই যাত্রাটি মানুষের মধ্যে থাকা দরকার। জীবনের যে কাজগুলো ছোট-বড় যাই হোক না কেন, সেগুলোর একটা পরিমাপ থাকে। মমতাজ উদদীন আহমদ যেমন সুন্দরভাবে সব কিছু গোছগাছ করে গেলেন। এটা জীবনের পরিসমাপ্তি। এতে অতটা খারাপ লাগছে না। এভাবেই হওয়া উচিত। তবে তার যে কাজগুলো করে গেছেন, সেগুলো আছে সে কাজগুলো নিয়ে আমরাও কিছুদিন থাকব। আমাদের পরে যদি কাজের জোর থাকে তাহলে আরও লোকজন থাকবে এ নিয়ে। শিল্পীর ব্যাপারটি হচ্ছে তার কাজের আসল শক্তি। সেই শক্তি তাকে বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ ও অনন্তকালে নিয়ে যাবে। যেটা ঘটেছে সেটা আমাদের মানতে হবে। নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, অসীম প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মমতাজ উদদীন আহমদ। তার মৃত্যু আমাদের সংস্কৃতি জগতের জন্য এবং সবার জন্যই বেদনাদায়ক। শ্রদ্ধা জানাতে এসে নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, মমতাজ স্যার বাংলাদেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চ নাটকের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ওনার সময়ে উনি তারকার চেয়েও বড় তারকা ছিলেন। আমাদের নাটক জীবনের শুরুতে ওনার সান্নিধ্য আমরা পেয়েছি। ওনার বেশ কয়েকটা নাটকেও আমার অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমাকে উনি ভীষণ আদর করতেন। একজন ক্রিয়েটিভ মানুষ ও ব্যক্তি দুই দিক দিয়ে ওনার সাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল। ওনার লেখনী ও অভিনয় যারা দেখেছে তারাই বুঝতে পারবে, অন্য কারো সঙ্গে মেলানো যায় না। ব্যক্তিগতভাবে একজন শিশুর মত মানুষ ছিলেন। শিশুসুলভ কথাবার্তা ছিল ওনার মধ্যে। ওনার চলে যাওয়ার জায়গা পূরণ হবার নয়। তার পরেও মানুষের মৃত্যু হবে, এভাবে সবার চলে যেতে হবে। আল্লাহর কাজে প্রার্থনা করি ওনার আত্মা যেন শান্তিতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন মমতাজ উদদীন আহমদ। গত ২৬ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১২ মে আবার বাসায় নেয়া হয়। পরে আবার ১৬ মে থেকে এ্যাপোলো হাসপাতালে নেয়া হয়। বেশিরভাগ সময়ই তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। রবিবার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ওই দিন রাতে মিরপুর রূপনগরে তার বাসভবনসংলগ্ন মদিনা মসজিদে বাদ এশা প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ ফ্রিজিং ভ্যানে তার বাসভবনের সামনে রাখা হয়। সেখানে থেকে সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নিয়ে আসা হয়। মমতাজ উদদীন আহমদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত। তিনি ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের পর তার পরিবার তদানীন্তন পূর্ববঙ্গে চলে আসে। তার পিতার নাম কলিমুদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম সখিনা বেগম। তিনি মালদহ আইহো জুনিয়র স্কুলে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে ১৯৫১ সালে ভোলাহাট রামেশ্বর পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বি.এ (অনার্স) ও এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী কলেজে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ইউরোপীয় নাট্যকলায় তিনি ৩২ বছরেরও বেশি সময় শিক্ষাদান করেছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের খন্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মমতাজ উদদীন আহমদ এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তিনি এক সময় দৈনিক জনকণ্ঠে নিয়মিত কলাম লিখতেন। তিনি শিক্ষক ও লেখক হিসেবে পরিচিতি পেলেও থিয়েটারের মাধ্যমে তার কর্মজীবনকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সক্রিয়ভাবে বাংলা ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। এছাড়াও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার মালদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় তার শৈশব অতিবাহিত করেন। ছাত্র অবস্থায়ও তিনি তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে অংশ নেন। রাজশাহীর ভাষা আন্দোলন কর্মী গোলাম আরিফ টিপুর সঙ্গে তিনি রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজশাহী কলেজে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণেও ভূমিকা পালন করেন। রাজনীতির কারণে বহুবার কারাবরণ করেন। তার গবেষণা প্রবন্ধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত’, ‘বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত’, ‘প্রসঙ্গ বাংলাদেশ’, ‘প্রসঙ্গ বঙ্গবন্ধু’, ‘আমার ভিতরে আমি’, ‘জগতের যত মহাকাব্য’, ‘মহানামা কাব্যের গদ্যরূপ’, ‘সাহসী অথচ সাহস্য’, ‘নেকাবী এবং অন্যগণ’, ‘সজল তোমার ঠিকানা’, ‘এক যে জোড়া, এক যে মধুমতি’, ‘অন্ধকার নয় আলোর দিকে’। মমতাজ উদদীন আহমদের লেখা জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বিবাহ’, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, ‘বর্ণচোরা’, ‘এই সেই কণ্ঠস্বর’, ‘কী চাহ শঙ্খচিল’, ‘সাতঘাটের কানাকড়ি’, ‘রাজা অনুস্বারের পালা’, ‘বকুলপুরের স্বাধীনতা’, ‘সুখী মানুষ’, ‘রাজার পালা’, ‘সেয়ানে সেয়ানে’, ‘প্রেম বিবাহ সুটকেশ’, ‘ভোটরঙ্গ’, ‘উলটো পুরান’, ‘ভেবে দেখা’, ‘নাট্যত্রয়ী’, ‘হৃদয় ঘটিত ব্যাপার স্যাপার’, ‘জমিদার দর্পণ’, ‘ক্ষত বিক্ষত’, ‘রঙ্গপঞ্চাদশ’, ‘রাক্ষসী’ উলেখযোগ্য। তার লেখা নাটক ‘কি চাহ শঙ্খ চিল’ এবং ‘রাজা অনুস্বরের পালা’ রবীন্দ্রভারতী বিশ^বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীতে তালিকাভুক্ত। এছাড়াও তার বেশ কিছু নাটক, বাংলাদেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন মমতাজ উদদীন আহমদ। এছাড়া বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমি বিশেষ সম্মাননা, শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
×