ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:১৫, ১৭ মে ২০১৯

 উবাচ

আর না স্টাফ রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে সবাই পেছনে সমালোচনা করলেও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউ। বিশেষ করে বিএনপি নেতারা নিজেদের পদ পদবি হারানোর ভয়ে সদা সর্বদা তটস্থ থাকেন। দল আর জোটের মহা সর্বনাশ হলেও বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখাটা জরুরী। কিন্তু কতকাল আর মানুষ মুখ না খুলে থাকবে। একজন কারাগারে আরেকজন লন্ডনে। কারাগার আর লন্ডনে থেকে মা ছেলের বাংলাদেশে রাজনীতি পরিচালনা করার যে অভিজ্ঞতা তা মোটেই সুখকর নয়। বিএনরি রাজনীতি এখন ধুঁকছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল এভাবেই কি নেতৃত্বের সঙ্কটে ধুঁকতে থাকবে। নাকি দলের বৃহত্তর স্বার্থে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনবে। বিএনপি জোটের অন্যতম শরীক লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ স্পষ্ট করেই বলেছেন, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জেলে থেকে আমাদের নির্দেশ দেয়া সম্ভব নয়। আবার তারেক রহমানের পক্ষে লন্ডন থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকা সম্ভব নয়। সঙ্গত কারণেই খালেদা-তারেকের নেতৃত্ব থেকে বিএনপি এবং জোটকে সরিয়ে নিয়ে অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দেয়ার পক্ষে অলি আহমেদ। তিনি নিজেও সেই দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান। এখন দেখা যাক এই উপলব্ধি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মধ্যে জেগে ওঠে কি না। আবার এই সমালোচনাও রয়েছে স্পষ্টবাদী হওয়ার জন্য অলিকে একসময় বিএনপি ছাড়তে হয়েছিল। এবার এই সত্যটি বলার কারণে জোটও ছাড়তে হতে পারে। . ক্ষমা চাইতে হবে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতকে সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি আবার সেই জামায়াতেরই সমালোচনা। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা নতুন এই তত্ত্ব আবিস্কার করেছেন। ইদানীং যখন সাধারণ মানুষ বুঝে গেছেন জামায়াতকে সঙ্গে রাখার কারণে বিএনপি ঘৃণীত হচ্ছে। দেশের মানুষের কাছে বিশ^াসযোগ্যতা হারাচ্ছে বিএনপি তখন নতুন এই ফর্মুলা নিয়ে কথা বলছেন বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা। তাদের একজনতো বলছেন খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতেও জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া না চাওয়া বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্প্রতি বলেছেন, একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের কারণে জামায়াতে ইসলামীকে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াত যদি সত্যিকার অর্থে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় তাহলে তাদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে। জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া না চাওয়ার সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্পর্ক কী। জামায়াত ক্ষমা চাইলেই খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এতিমখানা থেকে যে টাকা সরিয়েছিলেন তা শুদ্ধ হয়ে যাবে? বরং খালেদা জিয়াতো নিজেই নিজের ভুল স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সব থেকে বড় যে প্রশ্ন আসে তা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া কোন কোন ইস্যুতে ক্ষমা চাইবেন। এতিমের টাকা, স্বাধীনতা বিরোধীদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা, আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা এমন হাজারও বিষয় রয়েছে। এখন কোন কোন ইস্যুতে তিনি ক্ষমা চাইবেন তা আগে ঠিক করতে হবে। . মৃত এরশাদ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে এক স্বৈরশাসকের বিদায় নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে। শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। বার্ধক্য চেপে ধরেছে তাকে। যদিও তিনি এখনও জীবিত। সেই মানুষটি যদি মারা যান তাহলে কি হবে! খোদ তার দলের নেতাকর্মীরা এই আলোচনায় মেতেছেন। জাতীয় পার্টি প্রধান এইচ এম এরশাদের সাম্প্রতিক অসুস্থতার পর তার অবর্তমানে দল কিভাবে চলবে তার সম্পদের কি হবে এইসব তিনি নিজেই ঠিক করে রেখে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই পার্টি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানেই তার প্রকৃত মূল্যায়ন হবে। জীবিত এরশাদের চেয়ে মৃত এরশাদ অনেক বেশি শক্তিশালী হবেন। অবশ্য তিনি কি আদর্শ জাতির জন্য রেখে যাচ্ছেন, কেন তিনি শক্তিশালী হবেন সেই সমালোচনা মৃত্যু পথযাত্রীর বেলায় করাটা শোভন নয়। তবে রাঙ্গার এই বক্তব্যের পর অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন এরশাদ আর নেই। কিন্তু সুখবর হচ্ছে তিনি এখনও বেঁচে আছেন।
×