ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক অপরাধ নির্মূলে ১৪ দলের সংগ্রাম চলবে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ১০:০০, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

 সামাজিক অপরাধ নির্মূলে ১৪ দলের সংগ্রাম চলবে ॥ নাসিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে পারলে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও মাদক নির্মূল করতে পারব না কেন? ধর্ষণ-নারী নির্যাতন বন্ধ ও নিরাপদ সড়ক কেন গড়তে পারব না? সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ-মাদকসহ সামাজিক অপরাধ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ১৪ দলের লড়াই-সংগ্রাম চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। শুক্রবার বিকালে পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূল ও নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে সর্বস্তরের ব্যাপক মানুষের সমাগম ঘটে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ এখন সারাবিশ্বে সমস্যা। যে জঙ্গীর লাশ মা-বাবা নেয় না, সেই জঙ্গী কর্মকা- চালিয়ে লাভ কী? ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনও জঙ্গীবাদকে সমর্থন করে না। অথচ মুসলমান হয়ে পিঠে বোমা বেঁধে আত্মঘাতী হামলা চালানো হচ্ছে কেন? কোন ধর্মেই তো এটা সমর্থনযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা খুবই প্রয়োজন। কারণ ধর্মের নামে সারাবিশ্বে এখন রক্তের হোলিখেলা চলছে। যারা এসব কর্মকা-ে জড়িত তারা মানুষ নামের কলঙ্ক, শয়তান। মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদে জড়িতদের ধরিয়ে দিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়াকে যেহেতু পরাজিত করতে পেরেছি, সেহেতু সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ-মাদকসহ সামাজিক অপরাধ নির্মূল করতে পারব ইনশাল্লাহ। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা কেন বাস্তবায়ন হলো না? যারা শেখ হাসিনার নির্দেশ মানেন না তারা সরকারী চাকরি করতে পারবেন না। ট্রাফিক আইন শক্তভাবে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, টাকা খেয়ে কাউকে ছেড়ে দিবেন না। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি কেন মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূলে এগিয়ে আসছে না? এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করার অংশ হিসেবে তাদের সংসদে আসা উচিত। শপথ নেয়া বিএনপির সংসদ সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যরাও সংসদে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিএনপির সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীরা শুনে না, এটা দলটির দেউলিয়াত্বেরই বহিঃপ্রকাশ। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, মাদক সমাজ তথা দেশকে ধ্বংস করে দেয়। এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তবে উপরের এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা মাদককে উৎসাহ দেয়। প্রশাসনের এক শ্রেণীর কর্মকর্তাও এর সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, যতদিন নিরাপদ দেশ না হবে ততদিন নিরাপদ সড়ক হবে না। আর নিরাপদ দেশ গড়তে বড় প্রতিবন্ধকতা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও তাদের দোসররা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপদ দেশ গড়তে ১৪ দল কাজ করে যাচ্ছে। রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দিলীপ রায়, শিক্ষাবিদ শেখ সেকেন্দার আলী, শিক্ষক প্রতিনিধি কাজী কামরুজ্জামান, সাংবাদিক প্রতিনিধি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
×