ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরাধিকার সূত্রেও মানুষ বদরাগী হতে পারে

রাগের রহস্য ভেদ...

প্রকাশিত: ০৯:১১, ২০ এপ্রিল ২০১৯

 রাগের রহস্য ভেদ...

বর্তমান পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের সিংহভাগই অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করে থাকে। জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনেক দেশেই দারিদ্র্যের হার কমছে এবং মানুষের সম্ভাব্য আয়ু বাড়ছে। যদি তাই হয়, তাহলে আমাদের আশপাশের এত মানুষকে কেন সবসময় ক্রুদ্ধ ও রাগান্বিত মনে হয়। আবার মানুষ কেন অল্পতে রেগে যায়? রাস্তায় চলাচল করার সময়, সামাজিক মাধ্যমে বা কোন রাজনীতিবিদের সমালোচনা করার সময় মানুষের ক্ষোভ যেভাবে প্রকাশিত হয়, তা দেখে কেউ যদি ধারণা পোষণ করে যে পৃথিবীর মানুষ আসলে চিরস্থায়ী ক্রোধের মধ্যে ডুবে আছে- তাহলে তাকে খুব একটা দোষ দেয়া যায় না। প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক অলিভার বার্কেম্যান মানুষের ক্রোধ ও রাগ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন আমরা কেন হঠাৎ রেগে যাই? আর কোন বিষয়গুলো আমাদের রাগ চড়িয়ে দেয়?। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের প্রখ্যাত হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক এ্যারন সেল বলেন, ‘ক্রোধ খুবই জটিল একটি বিষয়। তিনি বলেন, রাগ প্রকৃতপক্ষে মানুষের মন নিয়ন্ত্রিত একটি যন্ত্র। আরেক ব্যক্তির মাথার ভেতরে ঢুকে নিজেকে ওই ব্যক্তির কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার একটি পদ্ধতি। তাদের মন পরিবর্তন করে তাদের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে জয়ী হওয়ার একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে রাগ। অধ্যাপক এ্যারন সেল বলেন, অনেকে উত্তরাধিকার সূত্রের জন্যও অত্যন্ত বদরাগী স্বভাবের হতে পারে। এই সব লোকেরা রাগলে তাদের ভ্র‍ুর বিস্তর ঘটে, নাসারন্ধ্র প্রসারিত হয়, চোয়ালের পুরুত্ব বাড়ে ও মুখের অভিব্যক্তি বদলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর রায়ান মার্টিন বলেন, রাগ হলে মানুষের সহানুভূতিশীল স্নায়বিক কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া মানুষের হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হয়ে যায়, আপনি ঘামতে শুরু করেন এবং পরিপাক ক্রিয়া ধীরগতিতে চলতে শুরু করে। আর মানুষ যখন বেশি মাত্রায় রাগী স্বভাবের হয়ে পড়ে তখন তারা নিজেকে টিকিয়ে রাখা বা প্রতিশোধ নেয়ার বিষয়টিকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।-বিবিসি অবলম্বনে।
×