ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মস্তিষ্কে নতুন কোষ তৈরি হয় সারাজীবন

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ২৭ মার্চ ২০১৯

মস্তিষ্কে নতুন কোষ তৈরি হয় সারাজীবন

নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় সারাজীবনই নতুন কোষ তৈরি হয়। কমপক্ষে ৯৭ বছর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এতদিন মনে করা হতো যে, জন্মের সময় মস্তিষ্কে যত কোষ থাকবে, জীবনভর সে সংখ্যাটিই রয়ে যাবে। তাই নতুন ধারণাটি ব্যাপকভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করবে। ইউনিভার্সিটি মাদ্রিদের একদল গবেষক এমনও দেখিয়েছেন যে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নতুন কোষ তৈরির সংখ্যাও বন্ধ হয়ে গেছে এবং আলঝেইমার রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কোষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমতে থাকে। তাই ডিমনেশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগের জন্যে এমন গবেষণা নতুন ধারণার সৃষ্টি করে। আমাদের মস্তিষ্কের বেশিরভাগ কোষ যা নিউরন নামে পরিচিত নিজেদের মধ্যে বৈদ্যুতিক সঙ্কেত পাঠায়-আর এই প্রক্রিয়া আমাদের জন্মের সময় থেকেই শুরু হয়। অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের পরবর্তী সময়েও তাদের মস্তিষ্কে নতুন কোষের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে নতুন নিউরনের উদ্ভব (যে প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘নিউরোজেনেসিস’) অব্যাহত থাকে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থেকে গেছে। ‘নেচার মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণাটি করা হয় ৫৮ জন মৃত মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে। যাদের বয়সসীমা ছিল ৪৩ থেকে ৯৭ বছর। মূল মনোযোগ দেয়া হয় ব্রেন বা মস্তিষ্কের ‘হিপ্পোক্যাম্পাস’ অংশ- যেটি স্মৃতি এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। যেমন আপনি আপনার গাড়িটি কোথায় পার্ক করে এসেছেন, সেটি মনে করতে মস্তিষ্কের এই অংশটি ব্যবহৃত হয়। জন্মের পর থেকে নিউরন মস্তিষ্কে পরিপূর্ণরূপে থাকে না, বৃদ্ধি এবং পরিপক্ব হবার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পূর্ণতা পায়। গবেষকরা মস্তিষ্কে এই অপরিণত বা ‘নতুন’ নিউরনকে নির্দিষ্ট করতে পেরেছেন। একটি সুস্থ মস্তিষ্কে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিউরোজেনেসিস বা নিউরনের বৃদ্ধির পরিমাণ ‘সামান্য কম’ দেখতে পাওয়া যায়। গবেষক ড. মারিয়া লরেন্স-মার্টিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মানুষ যতক্ষণ নতুন কিছু শিখছে, ততক্ষণ নতুনভাবে নিউরনের বৃদ্ধি ঘটছে এবং এটি আমাদের জীবনের প্রতি মুহূর্তেই ঘটে চলেছে।’ –বিবিসি
×