ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ২৩ মার্চ ২০১৯

 নিউজিল্যান্ডের  প্রধানমন্ত্রীকে  হত্যার হুমকি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। জেসিন্ডাকে উদ্দেশ করে দেয়া টুইটার পোস্টে এ হুমকি দেয়া হয়। এ হুমকির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে দেশটির পুলিশ। এরই মধ্যে ওই টুইটার এ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খবর ওয়েবসাইটের। গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহত হওয়ার পর মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা ও ঐক্য প্রকাশের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। হামলার পরপরই একে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। শপথ নিয়েছেন হামলাকারীর নাম কখনও মুখে না আনার। হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাথায় হিজাব পরতেও দেখা গেছে তাকে। এবার সে জেসিন্ডাকেই হত্যার হুমকি দিয়ে টুইটারে পোস্ট দেয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দেয়া টুইটার পোস্টে একটি বন্দুকের ছবি যুক্ত করে লেখা হয় ‘এরপর আপনি’। দ্বিতীয় একটি পোস্টে জেসিন্ডার পাশাপাশি পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলা হয় ‘এরপর আপনারা’। ওই পোস্টেও একইরকম বন্দুকের ছবি যুক্ত করে দেয়া হয়। নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় ২২ মার্চ বিকেল চারটার আগেই ওই টুইটার এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটার এ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে ওই হুমকিমূলক পোস্ট দেয়া হয়েছিল। পরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশকে সে পোস্টের বিষয়ে অবহিত করে। বন্ধ করে দেয়া ওই টুইটার এ্যাকাউন্টটিতে মুসলিমবিরোধী ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছিল। পুলিশের এক মুখপাত্র নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, ‘টুইটারে দেয়া ওই মন্তব্যের বিষয়ে পুলিশ অবগত আছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। টুইটারের এক মুখপাত্র বলেন, টুইটারে সহিংস হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ। ‘এ টুইটের বিষয়ে প্রথম খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ক্রাইস্টচার্চে হামলা সংক্রান্ত যেকোন ধরনের সহিংস ও নীতিবিবর্জিত কনটেন্ট মুছে ফেলার জন্য আমাদের কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেন, ওই মুখপাত্র। তদন্তের ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
×