ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ডলার ও রুপী বিক্রির হাট

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১ মার্চ ২০১৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ডলার ও রুপী বিক্রির হাট

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট সংলগ্ন সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন বিনোদপুর ও মনাকষা। একেবারে সীমান্ত ঘেষে ইউপি দুটির অবস্থান। এখানে প্রায় ২১টি পয়েন্ট দিয়ে চোরাচালান হয়ে থাকে। তাই দুটি ইউনিয়নে ১২টি বাজার বসে ভারতীয় রুপী ও ডলারের। বর্তমানে ডলার নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে। তাছাড়া ভারতীয়দের কাছে ডলার এখন খুবই মূল্যবান হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এপারের চোরাকারবারিরা ডলার নিয়ে পণ্য কিনতে ভারতে যাচ্ছে। ডলার দিয়ে পণ্য কেনাবেচায় ভারতীয়রা খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে ও আনন্দ উপভোগ করে থাকে। পাশাপাশি দ্রব্য মূল্যেও কম ধরে থাকে ডলার পেলে। তবে তারা সোনা পেলে ভারতীয় রুপী দেয়ার চেষ্টা করে এখানকার চোরাকারবারিদের। অধিকাংশ চোরাকারবারি এ এলাকার হওয়ার কারণে তারা বিনিময় মূল্যে যে কোন ধরনের মুদ্রা পেলেই সন্তুষ্ট থাকে। কারণ ভারতীয় মুদ্রা বা রুপী ভাঙ্গাতে কোন বেগ পেতে হয় না। এখানে তাই তারা ডলার দিয়ে কম দামে অবৈধ অস্ত্রসহ বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য কিনলেও সোনা বিক্রি করে ভারতীয় মুদ্রায়/নগদ কড়কড়ে রুপী নিয়ে নাচতে নাচতে এখানে প্রবেশ করা মাত্র বিনিময়ে বাংলাদেশী মুদ্রা পেয়ে থাকে। তবে এপারের বাজারে ডলারসহ ভারতীয় রুপী যে হারে পাওয়া যায় তা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন শাখায় ঢু মারলেও ডলার পাওয়া যাবে না। তবে বিনোদপুর ও কানসাটের মনাকষা বাজারে যেখানে সেখানে খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে ডলার। অনেক চোরাকারবারি যারা অস্ত্র ও মাদক কিনতে ভারতে যায় তারা বাংলাদেশী মটাকা দিয়ে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে ভারতে প্রবেশ করে। কারণ ভারতীয় চোরাকারবারিদের কাছে ডলালের মূল্য অনেক বেশি। তাই চাঁপাই-এর কানসাট সংলগ্ন বিনোদপুর ও মনাকষা বাজারের একাধিক পয়েন্টে ভারতীয় রুপী ও ডলারের অবাধ বিক্রিতে কোন ঘাটতি নেই। যে সব বাংলাদেশী চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে থাকে তারাও এ দুটি বাজার থেকে ভারতীয় রুপী কিনে থাকে। দামেও তেমন হেরফের নেই। মাত্র ৫/৭ টাকা বেশি নিয়ে থাকে এখানকার মুদ্রা ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে পদ্মা পার হলেই মুর্শিদাবাদের একাধিক বাজার পাওয়া যায়। তাই গরু ব্যবসায়ীরা সাধারণত ডলার ও ভারতীয় মুদ্রা নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে। তারা ডলার ও ভারতীয় রুপী পেলে গুরুসহ অনেক দ্রব্যের মূল্যও কম ধরে থাকে। তাই এখানকার চোরাকারবারিরা বিনোদপুর ও মনাকষার খোলা বাজার থেকে ডলার ও রুপী কিনে থাকে। দিন দিন ভারতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এখানে ডলারের অনেক কেনাবেচা বেড়ে গেছে বলে চোরাকারবারি সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও প্রতিদিন বাড়ছে ডলার ও রুপী বিক্রির দোকান পাট। তবে এখানকার দোকানদাররা কিভাবে ডলার সংগ্রহ করে তা জানা না গেলেও ভারতীয় মুদ্রা কেনার বিষয়ে ভারতীয়রা ডিলার নিয়োগ করেছে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
×