ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবেশপত্র বিতরণের সময় টাকা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

প্রবেশপত্র বিতরণের সময় টাকা নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৩০ জানুয়ারি ॥ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টাকা ছাড়া প্রবেশপত্র দেয়া হচ্ছে না। পরীক্ষার ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে তিন-চারগুণ টাকা নেয়া হলেও আবার প্রবেশপত্র বিতরণের সময় টাকা নেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় এক পরীক্ষার্থীকে জুতাপেটা করা হয়েছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের আদেশক্রমে গত ২৪ জানুয়ারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃ আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র বিতরণে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা আদায় সংক্রান্ত একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যার কপি উপজেলার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। অথচ সেই আদেশ অমান্য করে প্রায় সব কয়টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র বিতরণের সময় টাকা নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বিলবিলাস আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫শ’ টাকা করে প্রবেশপত্র ফি নেয়া হয়েছে। আবার প্রবেশপত্র আটকে রেখে বকেয়া টাকা আদায় করা হচ্ছে। কমার্স বিভাগের ‘ব’ বিজ্ঞান বিভাগের ‘শা’ ‘ই’ ‘উ’ ও কৃষি বিভাগের ‘শা’ আদ্যক্ষরের কয়েক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় তাদের কাছ থেকে যথাক্রমে ৪ হাজার, ৬ হাজার, ৪ হাজার ৩শ’ ২ হাজার ও ২ হাজার ৫শ’ টাকা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ‘উ’ ও ‘শা’ আদ্যক্ষরের দুই পরীক্ষার্থীকে ফরম পূরণের সময় বাউফল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সুপারিশ করায় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ও ২ হাজার ৫শ’ টাকা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ সব আদ্যক্ষরের পরীক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েক সাংবাদিকের শরণাপন্ন হলে, বিষয়টি তাদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়। পরে ওই সব পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র আনার জন্য বিদ্যালয়ে গেলে এর মধ্যে এক পরীক্ষার্থীকে আমিনুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক সাংবাদিকদের বিষয়টি জানানোর অপরাধে জুতাপেটা করেন। ওই বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থীর ভাই সুমন অভিযোগ করেন, তিনি মঙ্গলবার তার বোনের প্রবেশপত্র আনার জন্য বিদ্যালয়ের ক্লাস টিচার বদরুল ইসলামের কাছে গেলে তার বোনের কাছে কোচিং ক্লাসের বকেয়াবাবদ ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি প্রবেশপত্র ফি বাবদ ৫শ’ টাকা দিলেও তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রবেশপত্র বিতরণের সময় কোন ফি নেয়া হচ্ছে না।
×