ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন ॥ নদীকে জীবন্ত সত্তার স্বীকৃতি দাবি

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন ॥ নদীকে জীবন্ত সত্তার স্বীকৃতি দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৯ জানুয়ারি ॥ নদী নিয়ে কাজ করা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষক এবং সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তারা নদী বাঁচাতে নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দখল, দূষণ করে নদী মেরে ফেলছি আমরা। কারণ নদীর অনুভূতিকে আমরা আমলে নেই না। নদীর নিজস্ব একটা সত্তা আছে সেটি আমরা ভাবি না। মঙ্গলবার কুয়াকাটায় বেলা ১১টায় হোটেল গ্রেভার-ইন মিলনায়তনে ‘রিভার: এ লিভিং বিয়িং’ নামের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব দাবি ওঠে। আলোচকরা বলেন, নদীর অধিকার রক্ষায় নদীর মতো নদীকে থাকতে দিলে তার সত্তার স্বীকৃতি দিতে হবে। দুদিনের আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের প্রথম দিনে মূল বিষয় তুলে ধরেন একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির। তিনি বলেন, দখল-দূূষণসহ অপরিকল্পিত উন্নয়নে আমাদের নদীগুলো মরে যাচ্ছে। নদী মরে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পরছে আমাদের জীবন-জীবিকায়। নদীকে নদীর মতো থাকতে দিতে হবে। এছাড়া নদী বাঁচানো যাবে না। শুরুতে ধারণাপত্রে বলা হয়, পানি এবং জীবন সমার্থক। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পানির অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে নদীর অধিকার এখনো ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। দক্ষিণ এশিয়ায় শত শত নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। যেহেতু এ নদীগুলোর অধিকাংশই আন্তঃসীমান্ত নদী, তাই বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং মায়ানমারে বসবাসরত মানুষের কাছে এসব নদীর পানি একটি সাধারণ প্রাকৃতিক সম্পদ। যা মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ধারণাপত্রে বলা হয়, নদীরও অনুভূতি আছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, নদীকে বাঁচাতে হলে আমাদের নদীকে ভালভাবে বুঝতে হবে। নদী একটি জীবন্ত সত্তা। এই জীবন্ত সত্তাকে ভালভাবে বুঝতে হবে। এসব অনুধাবন করে নদী বিষয়ক প্রকল্প হাতে নেয়া প্রয়োজন। নদী মরে গেলে মানুষের ওপর তার প্রভাব পরলে তখন নদীর সত্তা বোঝা যায়। দখল, দূষণ, অপরিকল্পিত পরিকল্পনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর অধিকার ও সত্তা আমার ধ্বংস করছি।
×