ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গণফোরাম-বিএনপি টানাপোড়েন ॥ ভাঙতে পারে জোট

সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেবেন

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেবেন

রাজন ভট্টাচার্য ॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে গণফোরামের নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্যের শপথ নিয়ে জোটে শুরু হয়েছে ব্যাপক টানাপোড়েন। নির্ধারিত নব্বই দিনের মধ্যে শপথ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মৌলভীবাজার-২ থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান। যদিও বিএনপি ও গণফোরামের একাংশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে বারবার আপত্তি আসছে। ঐক্যফ্রন্ট সূত্র বলছে, দলের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই শপথের পক্ষে। ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া সংসদের প্রথম অধিবেশনের আগেই তাদের শপথ নেয়ার পক্ষে একমত অনেকেই। এজন্য গণফোরামের পক্ষে বিএনপিকে বোঝানোরও চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। তবে শপথ না নেয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে বিএনপি। দলের আপত্তির মুখে গণফোরামের দুই নেতা শপথ নিলে শেষ পর্যন্ত জোটে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে এমন কথাও জানিয়েছেন উভয় দলের নেতারা। ৩০ জানুয়ারি গণফোরামের একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এমনকি ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। এরমধ্যে সোমবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকও গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুই সাংসদের শপথ নেয়ার আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন। জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মনসুর গণফোরামের প্রার্থী হলেও নির্বাচিত হয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকে। অপরদিকে সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনার প্রার্থিতা হাইকোর্ট বাতিল করলে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানকে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে সমর্থন দেয় বিএনপি। নির্বাচনের পর থেকেই তাদের শপথ নিয়ে রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম হয়। শুরুতেই নির্বাচিত দুজনেই শপথ নেয়ার পক্ষে একমত ছিলেন। কিন্তু দল ও জোটের বিরোধিতার এক পর্যায়ে তারা পিছু হটেন। নানা নাটকীয়তা শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়। তিন শ’ আসনের মধ্যে আটটিতে জয় পায় নতুন এই রাজনৈতিক মোর্চার প্রার্থীরা। এরমধ্যে ৬ জন সরাসরি বিএনপির নেতা। বাকি দু’জন গণফোরামের। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এমপিদের শপথ গ্রহণের বিষয়টি উভয় জোটকে ভাবিয়ে তুলেছে। সোমবার নির্বাচিত এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দু’জন শপথ নেব। তবে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। এখনও সময় আছে। ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিলেই হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে সুলতান মনসুর বলেন, আমি অসুস্থ, হাতে ফ্র্যাকচার। ব্যান্ডেজ বাঁধা। সুস্থ হতে এখনও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। শপথের তো এখনও বেশ সময় আছে। বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। ঐক্যফ্রন্টও সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তো আলাদা আলাদা দল। আমাদের সিদ্ধান্ত ‘অবশ্যই পজিটিভ’ হবে। ধানের শীষ প্রতীকে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আইনী কোন সমস্যা হবে কি-না? বলেন, না, এটা কোন সমস্যা হবে না। বিএনপি যদি সংসদে যেত, আর আমি যদি তাদের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দিতাম সেক্ষেত্রে সমস্যা হতো। এখন যেহেতু বিএনপি সংসদে যাচ্ছে না। তাই আমার শপথে কোন সমস্যা হবে না। আমি তো গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। সুলতান মনসুর বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন সংসদে কথা বলার জন্য। তাদের জন্য কাজ করতেই আমাকে সংসদে যেতে হবে। মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে জয় পান ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি। ইতোপূর্বে ধানের শীষ প্রতীকে কোন প্রার্থী ওই আসনে কখনও বিজয়ী হতে পারেননি। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার গঠন করেছিল তখনও এ আসনে জামানত হারায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। এবার এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হাড্ডাহাডি লড়াই করে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ ত্যাগী দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। উল্লেখ্য, ’৯৬ সালে সুলতান মনসুর নৌকা প্রতীক নিয়ে একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদিকে যোগাযোগ করা হলে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের নেতা মোকাব্বির খান বলেন, আমাদের দলের (গণফোরাম) প্রেসিডেন্ট চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে শপথ বিষয়েও আলোচনা হবে। ‘তবে এ বিষয়ে (শপথ) আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। ফোরামের সিদ্ধান্তও ইতিবাচকই হবে বলে আশা করি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। তবে বিএনপি কী করবে সেটা তাদের বিষয়। গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা বসে। সেখানে দলের সভাপতি ড. কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত গণফোরামের এক শীর্ষ নেতা বলেন, বর্ধিত সভায় এমপিদের শপথ ও সংসদে যাওয়ার বিষয়ে মতামত নেয়া হলে সব নেতা সংসদে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম গণফোরামের প্রতিনিধি হিসেবে কেউ সংসদে যাবে। তাছাড়া বেশিরভাগ নেতা সংসদে দলের নির্বাচিত সদস্যদের যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। এদিকে বিএনপির প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলে গত শনিবার আবারও জানিয়ে দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল। নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ৩০ ডিসেম্বর দেশে কোন নির্বাচনই হয়নি। এই নির্বাচনের ফল আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। সুতরাং শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না। অপরদিকে ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমদ একই দিন জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির উদ্দেশে বলেন, শপথ নিয়ে আপনারা বেইমানি করবেন না। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিএনপির ৬ জন ও গণফোরামের দুজন প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অপরদিকে খালেদা জিয়ার বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টনের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় ওই আসনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে। তিনি বিএনপির সমর্থনে নির্বাচিত হলেও পরে বলেন, ‘আমাকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে কি না জানি না।’ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে গত ৩ জানুয়ারি শপথ নেন বাবলু। এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর লতিফুল বারী হামিম বলেন, যারা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছে সবাই শপথ নেবেন। তবে কখন সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন, কারণ ৯০ দিন তো সময় আছে। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিলেই তারা সংসদে যাবেন। দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কিছু বিষয় রয়েছে, রাজনীতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হবে। সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অবশ্য বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের কোন প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে শপথ গ্রহণ করবে কিনা এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এখনও বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ আছে। যেকোন বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নেতারা।’ তবে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলছেন, সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে তারা এখনও অটল। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুলতান মোঃ মনুসর আহমেদ ও মোকাব্বির খান দুজনই গণফোরামের প্রেসিডিয়ামের সদস্য, দুজনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য। সেভাবেই নির্বাচন হয়েছে। একজন ধানের শীষ নিয়েছেন, আরেকজন সুযোগ পায়নি আমাদের দলীয় প্রতীকে করেছেন ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে সংসদে না যাওয়ার, শপথ না নেয়ার। এর পরে কী ব্যত্যয় ঘটবে সেটা আমাকে জিজ্ঞাসা না করে উনাদের (দুইজন) জিজ্ঞাসা করুন। এবারের নির্বাচনে ২৫৭ আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে। অন্যদিকে বিএনপিকে নিয়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র আটটি আসন। ভরাডুবির এই ভোটে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বগুড়া-৪ আসনে মোশারফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুনুর রশিদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুস সাত্তার ভূঞা জয়ী হতে পেরেছেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্ট নতুন করে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাতে সাড়া দেয়নি, বিএনপির নির্বাচিতরাও আর শপথ নেননি। আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হবে। নিয়ম অনুযায়ী, তার পরের ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ নিয়ে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর না করলে তার আসন শূন্য ঘোষণা করে সেখানে উপ-নির্বাচন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। মনসুর-মোকাব্বির শপথ নেবেন না- গণফোরাম জানান ॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সদস্যদের সংসদে যোগ দেয়ার খবরকে ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ দাবি করে গণফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংসদে যোগদানের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুই সাংসদ শপথ নেয়ার কথা বলেন। এরপর দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট ব্যানারে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য গণফোরাম নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেবেন না।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শপথ না নেয়ার আগের সিদ্ধান্ত বহাল আছে। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। এ জোটের ঐক্য সুদৃঢ় ও অটুট আছে। বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান গণফোরামের তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক। এতে বলা হয়, গণফোরামের দুই সদস্যের শপথ নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। যেখানে তারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চান মর্মে উল্লেখ করা হয়। এ খবর ভিত্তিহীন। গণফোরামের মনোনয়ন নিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর মৌলভীবাজার-২ ও মোকাব্বির খান সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আওয়ামী লীগের নেতা হলেও দলের সঙ্গে তার দূরত্ব রয়েছে। স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তে সাক্ষাত করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগ তাকে বিশেষ দায়িত্ব দিচ্ছে। এদিকে মনসুর সোমবার রাতে আওয়ামী লীগে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী জানিয়েছেন, তাদের দলের সভাপতি কামাল হোসেনকে দুই সাংসদের শপথ নেয়ার ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কামাল হোসেন দু’জনকে বহিষ্কার করার কথা বলেছেন। কিন্তু সংকট সমাধানে দলটির নেতারা ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান। আজ দেশে ফিরবেন কামাল হোসেন। ৩০ জানুয়ারি দলের বৈঠকে এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করা হবে। যদিও গণফোরামের ৫ জানুয়ারির বৈঠকে বেশিরভাগ নেতাকর্মী দুই সাংসদের শপথ নেয়ার পক্ষে অবস্থান নেন।
×