ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নৌকায় ভোট দিয়ে আরেকবার জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা করুন

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

  নৌকায় ভোট দিয়ে আরেকবার  জাতীয় স্বাধীনতা  রক্ষা করুন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নৌকা। এই নির্বাচনী প্রতীকটি বাঙালী জাতিকে একবার করেছে স্বৈরাচারমুক্ত, দ্বিতীয়বার করেছে জাতির জন্য স্বাধীনতা অর্জন। এবার জাতির সেই স্বাধীনতা রক্ষা পাবে কিনা তাও নির্ধারণ করবে এই নৌকা প্রতীক। ১৯৫৪ সালে হক-ভাসানীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল; সেবারের নির্বাচনেও হক-ভাসানীর প্রতীক ছিল নৌকা। দেশের মানুষ সেই নৌকায় ভোট দিয়ে মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী শাসন নির্মূল করেছিল। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ এই নৌকা প্রতীকের জয়ের ফলে শুরু করা সম্ভব হয়। আজ আবার জাতি ’৭০ সালের মতো এক বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। স্বাধীনতার শত্রুরা, ’৭১-এর ঘাতকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তেভেজা স্বাধীনতার পতাকা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য। এবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনপ্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। এবারও এই যুদ্ধের প্রতীক নৌকা এবং এই যুদ্ধের কা-ারি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই যুদ্ধে জয়পরাজয়ের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকে থাকবে কিনা। আমরা আকুলভাবে আবেদন জানাই দেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে। এবারেও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতাকে রক্ষা করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার শাসনামলে দেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে অভাবমুক্ত করেছেন। দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। দেশ আজ সন্ত্রাসমুক্ত। এ কথা আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে, হাসিনা সরকার এবারও ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ উন্নত দেশ সমূহের পর্যায়ে উন্নীত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং তার শাসনামল ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলে চিহ্নিত হবে। দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হবে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে। ’৭১-এর যুদ্ধ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সেই যুদ্ধের চূড়ান্ত ফয়সালা হবে। এবং অবশ্যই বাঙালী জাতি আবার বিজয়ী হবে। বাংলার মানুষের কাছে আমাদের আকুল আহ্বান, আপনারা প্রত্যেকে নৌকায় ভোট দিন। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন। ’৭১-এর স্বাধীনতার শত্রুদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করুন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক! এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী রাজনৈতিক নেতা সুলতান মাহমুদ শরিফ, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, জার্মানি প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী ড. অনুপম রায়, সুইডেন প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী জামিল মোস্তফা, ইতালি প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী ড. ছলিমুল্লাহ শেখ, গ্রিনল্যান্ড প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী ড. আফতাব হোসেন, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক, গামা আবদুল কাদির, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী লেখক, প্রকৌশলী শরিফ ভূঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ড. নূরুন্নবী, লেখক ড. মহসিন আলী, লেখক বেলাল বেগ, লেখক ড. জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, লেখক পুরবী বসু, লেখক হাসান ফেরদৌস, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, লেখক ড. বামন দাশ বসু, সাংবাদিক ও লেখক শিব্বীর আহমেদ, লেখক ফকির ইলিয়াস, কানাডা প্রবাসী শিক্ষাবিদ ড. বোরহান কবির খান, রাশিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী ড. এম পাটোয়ারী বাহার, জাপান প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী প্রবীর বিকাশ সরকার ও সজল বড়ুয়া ও সাউথ কোরিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী বিজন কুমার সরকার।
×