ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাট খাতের উদ্যোক্তাদের বিশেষ ছাড়

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

পাট খাতের উদ্যোক্তাদের বিশেষ ছাড়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবার পাট খাতের উদ্যোক্তাদের বিশেষ ছাড় দিল সরকার। এক্ষেত্রে এ খাতের সব বকেয়া ব্যাংকঋণ সুদবিহীন ব্লক এ্যাকাউন্টে রেখে দুই বছরের মরাটরিয়াম সুবিধাসহ ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ পাবেন উদ্যোক্তারা। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ সুবিধা দেয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, পাট খাতে প্রতিটি কেসের গুণাগুণ বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকার-কাস্টমার সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণের সুদ ও আবশ্যকীয় ক্ষেত্রে আসল বা এর অংশ বিশেষ ব্লক এ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে দুই বছরের মরাটরিয়াম সুবিধাসহ ১০ বছরে পরিশোধের সুবিধা প্রদান করতে হবে। এর আগে যারা ব্লক সুবিধা নিয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যাদের ঋণ অনিয়মিত ও শ্রেণীবিন্যাসিত হয়েছে তাদেরও এ সুবিধার আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তবে পাট খাতের জন্য প্রবর্তিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় দেয়া ঋণসহ বিশেষ সুবিধা সংবলিত ঋণের জন্য ব্লক সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং সুবিধা সংবলিত ঋণ বকেয়া থাকা অবস্থায় কোন ঋণের জন্য ব্লক সুবিধা বিবেচনা করা যাবে না। সার্কুলার অনুযায়ী, ব্লক এ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত ঋণের ওপর কস্ট অব ফান্ড হারে সুদ আরোপের কথা বলা হয়েছে। ঋণ ঝুঁকি নিরসণে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে জামানত গ্রহণ বা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। ব্লক সুবিধা পাওয়া গ্রাহক পরপর চারটি কিস্তির অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সুবিধা বাতিল করে প্রচলিত সুদহারে ও প্রচলিত নিয়মে ঋণ আদায়যোগ্য হবে। এছাড়া পাট খাতের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ হিসাবের জন্য ব্লক সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ অনুসারে ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ এবং নতুন ঋণ মঞ্জুরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম জমা গ্রহণের বিষয়টি ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংক নিজেই নির্ধারণ করবে। ঋণ হিসাবগুলো ব্লক এ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হয়ে গেলে বিচারাধীন মামলাগুলো সোলেনামার মাধ্যমে উভয় পক্ষ মিলে নিষ্পত্তি করার বিধান রাখতে হবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।
×