অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উন্নত দেশের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে চলবে ইলেকট্রিক ট্রেন। প্রতিদিন এ ট্রেনে গড়ে ১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে সাইনবোর্ড মোড় এবং চিটাগাং রোড হয়ে পঞ্চবটি পর্যন্ত এটি চলাচল করবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পিপিপি পদ্ধতিতে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সরকার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকার টু সরকার ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে লাইট র্যাপিড ট্রানজিট (এলআরটি) স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ইলেক্ট্রনিক ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা। এ ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো প্রস্তাবের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে এ ট্রেন চলবে দুটি রুটে। একটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে
চাষাঢ়া হয়েছে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ১১ কিলোমিটারের পথ। অন্যটি হচ্ছে চট্টগ্রাম রোড থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার। দুই লাইনের ইন্টারচেইঞ্জ স্টেশন হবে চাষাঢ়ায়। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর যৌথভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে তারপর ব্যয়ের বিষয়টি ঠিক করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ৩৮৮টি দেশে এ ধরনের ট্রেন সার্ভিস রয়েছে।
প্রকল্পে অনিয়মে পুনরায় টেন্ডারের নির্দেশ ॥ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য তিনটি প্রকল্প হতে নিয়েছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। কিন্তু এসব প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজে পায় মূল্যায়ন কমিটি। তাই পুনরায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত তিনটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
দুই প্রকল্পে ব্যয় বাড়ল ৫৪৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ॥ দুই প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে ৫৪৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক কাম বেড়িবাঁধ প্রতিরক্ষা এবং নিষ্কাশন (১ম সংশোধিত’ শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তির অতিরিক্ত কাজ বাস্তবায়নের নিমিত্ত ব্যয় বেড়েছে ৫০৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর আগে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ব্যয় বেড়ে বর্তমান ব্যয় দাঁড়াল ১ হাজার ৬৩১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।