ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে কর্মকর্তাসহ দুই জন খুন

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

গাজীপুরে কর্মকর্তাসহ দুই জন খুন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সামনে মহাসড়কের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থাই এ্যালুমিনিয়াম এক কর্মকর্তার মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে একইদিন পূর্ব শত্রুতার জেরে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে এক চা বিক্রেতাকে কুপিয়ে খুন ও তার ভাইকে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ১ নম্বর গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এক ব্যক্তির দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। বিচ্ছিন্ন মাথাটি তার দেহ থেকে কিছুটা দূরে পড়ে ছিল। লাশের পাশে হেলমেট, মোবাইল, ভিজিটিং কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও টাকাসহ কাগজপত্র পড়ে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহতের নাম সহিদুল ইসলাম (৩০)। সে ময়মনসিংহের ভালুকা থানার সিডস্টোর বাজারের জামিরদিয়া এলাকার ওয়াহাব আলী মোল্লার ছেলে। নিহত সহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ থাই এ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের ইন্টারন্যাল অডিট ডিভিশনের ডেপুটি ম্যানেজার। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, ওই মহাসড়কের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় সম্প্রতি ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে চা বিক্রেতা শহীদুল ইসলামকে (৪৫) কুপিয়ে খুন করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় তার ছোট ভাই আব্দুর রশিদকেও (৩৮) কুপিয়েছে তারা। হতাহতরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশেনের কাউলতিয়ার জেলারপাড় এলাকার জয়নাল আবেদীন শিকদারের ছেলে। নিহতের ছেলে সুজন আল মামুন জানান, সরকারী জমি থেকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রায় এক বছর আগে একই এলাকার আক্তার হোসেন গংদের সঙ্গে শহীদুল ইসলাম ও রশিদদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে শত্রুতা চলতে থাকে। ওই ঘটনায় শহীদুল ইসলাম ও রশিদকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আঃ রশিদ জোলারপাড় বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিল। পথে সে নাগপাড়া এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ আক্তার হোসেন তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে রশিদকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়। এ খবর পেয়ে ওই বাজারের চা বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম ছোট ভাই রশিদকে উদ্ধার করে অটোরিক্সা যোগে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষরা অটোরিক্সার গতিরোধ করে এবং দুভাইয়ের চোখে মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ধারালো অস্ত্র উপর্যুপরি কোপায়। একপর্যায়ে শহীদ ও রশিদ নিহত হয়েছে তাদের ফেলে রেখে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে শহীদুল ইসলাম মারা যায়। গুরুতর আহত আঃ রশিদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বোদায় গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার পঞ্চগড় থেকে জানান, বোদায় গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। লিলি আক্তার (২৬) নামে ওই গৃহবধূর স্বামী নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নিহত গৃহবধূর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নিহত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, লিলি আক্তারকে তার স্বামী নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনাটি বুধবার গভীররাতে বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউপির কাদেরপুর কৈমারী এলাকায় ঘটেছে। ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে। বোদা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। জানা যায়, বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের কাদেরপুর কৈমারী এলাকার হাসুমদ্দীনের ছেলে বাবুলের (৩৫) প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে যাবার পর পার্শ্ববর্তী ঝলই শালসীরি ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া গ্রামের সিরাজুলের মেয়ে লিলি আক্তারকে (২৬) বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে লিলিকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল স্বামী বাবুল।
×