কুষ্টিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২ ॥ অস্ত্র মাদকদ্রব্য উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ও দৌলতপুর, ৩১ অক্টোবর ॥ কুষ্টিয়ায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট এবং দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলোÑ দৌলতপুর উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আজম (২২) এবং জামালপুর গ্রামের রিফাজ উদ্দিনের ছেলে মদন (৪৫)। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। নিহত দু’জন শীর্ষ মাদক বিক্রেতা বলে পুলিশ দাবি করেছে। এই ঘটনায় পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাটের মাদ্রাসাপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে দুই দল মাদক বিক্রেতা গোলাগুলি করছে এমন সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ গুলিবিদ্ধ এক যুবককে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ জানতে পারে নিহতের নাম আজম। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮শ’ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি করে পুলিশ। অপরদিকে, রাত ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দু’দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসাপতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষাণা করেন। নিহতের নাম মদন (৪৫)। তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় দেড় ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। ভালুকায় ডাকাত সর্দার নিজস্ব সংবাদদাতা ভালুকা ময়মনসিংহ থেকে জানান, ভালুকায় উপজেলার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে আনোয়ার হোসেন (৩৭) এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে উপজেলার কাদিগড় এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওইস্থানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উপজেলার আংগারগাড়া গ্রামের ফালান বাছেদের ছেলে আনোয়ার পালাতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।