ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় দুদকের মামলা

বাফার গোডাউনের ১৫৩ কোটি টাকার সার আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১ নভেম্বর ২০১৮

বাফার গোডাউনের ১৫৩ কোটি টাকার সার আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ সান্তাহারে সারের বাফার স্টক গোডাউনে সরকারের বরাদ্দ ও সরবরাহ করা ১শ’ ৫৩ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সার আত্মসাত করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার সহকারী পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করে বুধবার সকালে হ্যান্ডেলিং ঠিকাদার ও গোডাউন ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন, রাজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও আদমদীঘি উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা এবং সান্তাহার বাফার গোডাউনের সাবেক ইনচার্জ নবির উদ্দিন খান। দুদক জানিয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত পরিবহন ঠিকাদারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ২ লাখ ৪২ হাজার ২শ’ ৪৯ টন সার সরবরাহ করে। এই সার গোডাউনে খালাস (আনলোড) ও খামাল (স্তূপ করে রাখা) করার দায়িত্বে ছিলেন হ্যান্ডেলিং ঠিকাদার মোঃ রাশিদুল ইসলাম রাজা। চুক্তির শর্তানুযায়ী নির্দিষ্ট উচ্চতায় বস্তা খামাল করার কথা। তদন্তে দেখা যায় হ্যান্ডেলিং ঠিকাদার উল্লিখিত পরিমাণ সার জমা না করে মজুদ রেজিস্ট্রারে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯শ’ ৬ টন হিসাবভুক্ত করেন। বাকি ৫২ হাজার ৩শ’ ৪২ দশমিক ৮০ টন সার গুদামে খামারভুক্ত বা জমা করেননি। এই পরিমাণ সার ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২৪ জুন পর্যন্ত আত্মসাত করেছেন। যার মূল্য ১শ’ ৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৭শ’ ৫২ টাকা। বিষয়টি কিছুদিন আগে অভিযোগ আকারে দুদক কার্যালয়ে আসে। এরপর দুদক অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করে। এ সময় দেখা অভিযোগে যে পরিমাণ সার আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সার আত্মসাত করা হয়েছে। অনেকটা সময় ধরে তদন্ত শেষে আত্মসাতের সত্যতা পেয়ে বুধবার সকালে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম আদমদীঘি থানায় উল্লিখিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৮২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
×